ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

২০ দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে পাটকল বন্ধের প্রতিবাদ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৫, ২০২০
২০ দলের ভার্চুয়াল বৈঠকে পাটকল বন্ধের প্রতিবাদ ২০ দলীয় জোটের ভার্চুয়াল বৈঠক

ঢাকা: পাটকল বন্ধ এবং বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় সরকারের প্রতিবাদ না জানানোয় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।

রোববার (০৫ জুলাই) দুপুরে জোটের সমন্বয়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল বৈঠকে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

বৈঠকে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন।

বৈঠকের আলোচ্য বিষয় ও সিদ্ধান্তসমূহ সোমবার ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।

জোটের শরিক বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বাংলানিউজকে বলেন, দেশের সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান সোমবার ১১টায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানাবেন।

সুত্র জানায়, বৈঠকে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাঠকল বন্ধ ও শ্রমিকদের বিদায় করার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। এছাড়া বিএসএফ কর্তৃক ভারত সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার ঘটনায় সরকার চুপ থাকায় প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বৈঠকে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের নতুন আইনকে কালো আইন আখ্যা দেওয়া হয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যে এ ধরনের আইন করার বিষয়টিকে দুরভিসন্ধিমূলক বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

কৃষকদের ৪ শতাংশ সুদে ঋণ দেওয়ার জন্য সরকারি প্রণোদনার টাকা পেতে নানা ধরনের শর্ত দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে জোটের নেতারা আলোচনা করেছেন। তারা বিনাশর্তে কৃষকদের ঋণ দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের নেত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার সাক্ষাতের বিষয় তুলে ধরে জোটের একজন নেতা বৈঠকে বলেন, মান্না যদি নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন তাহলে জোটের শরিক দলের নেতা হিসেবে আমরা তার সঙ্গে দেখা করতে পারব না কেন?

এ সময় অন্য এক নেতা প্রস্তাব করেন ঢালাওভাবে সব নেতার সাক্ষাতের সুযোগ না হলে অন্তত জোটের সিনিয়র কয়েকজন নেতা গিয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেন। জবাবে জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, এটা হতে পারে। এ বিষয়ে তিনি দলীয়ভাবে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।

জোটের কয়েকজনের মধ্যে অসন্তোষের বিষয়ে নজরুল ইসলাম খান বৈঠকে বলেন, যাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তাদের মধ্যে আর কোনো ক্ষোভ নেই।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নির্বাহী সভাপতি আল্লামা নূর হোসেন কাসেমী, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাওলানা আব্দুর রকিব, এলডিপির একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, বাংলাদেশ পিপলস লীগের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ ভাসানী চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান খন্দকার লুৎফর রহমান, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্বারী আবু তাহের ও বাংলাদেশ ন্যাপের একাংশের চেয়ারম্যান শাওন সাদেকী।

এলডিপির একাংশের চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদ অল্প সময়ের জন্য বৈঠকে উপস্থিত হলেও তিনি কোনো কথা বলেননি বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১২ ঘণ্টা, জুলাই ০৫, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।