ঢাকা: জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট (শনিবার) থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে আলোচনাসহ মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে বিস্তারিত কর্মসূচিগ্রহণ ও বাস্তবায়নে দলের পক্ষ থেকে নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কর্মসূচি নির্ধারণে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাদের এক যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানানো হয়।
একইসঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে চলমান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যুক্ত হন।
সভায় অারও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগস্ট মাসব্যাপী নিজ নিজ সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রস্তাবিত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
এ সময়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগস্ট শোকের মাস। এ মাসে আমাদের অনেকগুলো কর্মসূচি রয়েছে। ১৫ আগস্ট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস। এছাড়া ৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ ছেলে শেখ কামালের জন্মদিন, ৮ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিনী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মদিন, ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা দিবস, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা দিবস পালন করে আওয়ামী লীগ।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের গেনেড হামলা একই সূত্রে গাঁথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেক সপরিবারে হত্যা করা হয়। বিশ্বে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, নির্মমতা ও ষড়যন্ত্রের দিক থেকে ১৫ আগস্টের ঘটনা অন্য সব হত্যাকাণ্ডকে পেছনে ফেলেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব প্রতিকূলতাকে জয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সৃষ্ট সঙ্কট উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্য মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ নিয়ে চলেছেন।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আবেগের দিন। শোক থেকে শক্তি সঞ্চয়ের দিন। জাতির জনকের আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণে আত্মনিবেদনের শপথে আবদ্ধ হওয়ার দিন।
এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আব্দুর রহমান, তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। সভা পরিচালনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২১, ২০২০
এসকে/ওএইচ/