ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
‘১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা’ ‘১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা’

ঢাকা: ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ’৭৫- এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতা মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ নেতারা বলেছেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে ১৫ আগস্ট ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার।

সোমবার (২৪ আগস্ট) রাতে আওয়ামী লীগের বিশেষ ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে ‘২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও রাষ্ট্রীয় মদদে জঙ্গিবাদের উত্থান’ বিষয়ক আলোচনায় তারা এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, ১৫ আগস্টে বেঁচে যাওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালায় সেই পুরানো একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা। যতবারই শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করতে শুরু চেয়েছিল, ততবার একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বারবার হামলা চালিয়েছে শেখ হাসিনার উপর। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা না, এটা ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতারই একটি অংশ।

আমির হোসেন আমু বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা আমরা যদি বিশ্লেষণ করি তবে দেখা যায়, তৎকালীন জামায়াত-বিএনপি জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে, তাদের ছত্রছায়ায় এই ঘটনাটি সংগঠিত হয়েছে। আমাদের মুক্তাঙ্গনে সমাবেশের কথা থাকলেও পুলিশের বাধার মুখে সরে গিয়ে অস্থায়ী মঞ্চ করে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে বাধ্য হই। মুক্তাঙ্গনে এমন হামলা করা সম্ভব নয় বলে আমাদের সরিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে নিয়ে আসা হয়, যাতে ওদের প্লান সাকসেস করতে পারে।

তিনি বলেন, গ্রেনেড হামলার পর পরই টিয়ার গ্যাস ও গুলি করে নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় এবং যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তারা যাতে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পারে।

আমির হোসেন আমু বলেন, নামে মাত্র একটা তদন্ত কমিটি গঠন, জর্জ মিয়া নাটক সাজানো, এমনকি সংসদ চলাকালীন সময়ে এমন ঘটনা ঘটলেও সংসদে এই ব্যাপারে আলোচনা করারও সুযোগ দেওয়া হয়নি।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, সেদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার, ক্ষমতার আর এক কেন্দ্রবিন্দু ছিল হাওয়া ভবন- যা পরিচালনা করতো খালেদা জিয়ার কু-পুত্র তারেক রহমান। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট যে গ্রেনেড হামলা হয়েছে, তা একবারে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়নি, এটি ধাপে ধাপে পর্যায়ক্রমে জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা যে রাষ্ট্রীয় মদদে হয়েছে, বেগম খালেদা জিয়ার অনুমোদনে এবং তারেক রহমানের পরিচালনায়- এটা আজ দিবালোকের মত স্পষ্ট।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের গনতন্ত্র, স্বাধীনতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছিল। তারা মনে করেছিল, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আবার বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে হত্যা করবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করবে, গনতন্ত্রকে হত্যা করবে। কিন্ত আল্লাহ্’র রহমতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আজকে বেঁচে আছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রীর ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারী আশরাফুল আলম খোকন বলেন, এরকম নেক্কারজনক ঘটনা যেটা পৃথিবীর ইতিহাসে দ্বিতীয়টি আর নেই। একটা রাজনৈতিক দলকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য ১৫ই আগস্টের সেই অসমাপ্ত কাজ রাস্ট্রীয় মদদে ২১শে আগস্টে করার চেষ্টা হয়েছে।

অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুভাষ সিংহ রায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০২০
এমইউএম/ওএফবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।