ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

দুঃসময়ে কবি নজরুল প্রেরণা যোগায়: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
দুঃসময়ে কবি নজরুল প্রেরণা যোগায়: রিজভী বক্তব্য রাখছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনন্য কীর্তিগুলো আছে বলেই আজও আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই, সংগ্রাম করছি।

বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, যখন আমরা মিছিল করব কবি নজরুল ইসলামের জীবন আমাদের প্রভাবিত করে। যখন সত্য উচ্চারণ করব তখন তার জীবন আমাদের প্রভাবিত করে। গণতন্ত্রের কথা বললে যখন আমাদের গ্রেফতার করা হয় তখন কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের উদ্বুদ্ধ করে স্বেচ্ছায় নির্যাতন ভোগ করাতে। নজরুল ইসলাম আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতিটি ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তার জীবনের প্রতিটি ঘটনা আমাদের উদ্বুদ্ধ করে।

বিএনপির এ নেতা বলেন, আজকে গণতন্ত্র শূন্যতার এ যুগে, দুঃশাসনের এ যুগে প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি ক্ষণে কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রেখেছেন যে, দুঃসময়কে অতিক্রম করার জন্য, বেঁচে থাকার জন্য এবং সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ করার জন্য কাজী নজরুল ইসলাম সবসময় আমাদের পাশে আছেন, আমাদের হৃদয়ে আছেন, আমাদের অন্তরে আছেন। তিনি আমাদের হৃদয়ে আছেন বলেই এতো নিপীড়ন-নির্যাতনের মধ্যেও আমরা এখনও সত্য উচ্চারণ করছি, গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করছি।

রিজভী বলেন, কবি নজরুল মানবতার কবি, সাম্যের কবি। মানবতা ও সাম্যের এতো শাণিত উচ্চারণ সেই ঔপনিবেশিক যুগে তিনি করেছেন যা আজও অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। যখন চারিদিকে দেখি বঞ্চনা, শোষণ ও জুলুমের ভয়াবহ স্টিমরোলার চলছে তখন কবি নজরুল ইসলামের গান-কবিতা সবকিছুই আমাদের উদ্বুদ্ধ করে, প্রাণিত করে। সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের বড় ধরনের প্রেরণা যোগায়।

তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন নির্বাচন কমিশন তার যে কার্যক্ষমতা সেই ক্ষমতাটা দিয়ে দিচ্ছে সরকারের হাতে। সেজন্য একজন নির্বাচন কমিশনার প্রতিবাদ করেছেন, নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন। আরপিওর মধ্যে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধনের জন্য তাদের যে ক্ষমতা রয়েছে সেটা আলাদাভাবে আইন করে সরকারের হাতে ক্ষমতাটা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এখনই তো পুরোপুরিভাবে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যারা পরিচালনা করছেন নির্বাচন কমিশন তারা তো সরকারের বাইরে এমনিতে একধাপও জান না, তারপরও নিশ্চিত হতে পারছেন সরকার।

এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার তার অ্যাবসোলুট করার জন্য রাজনীতিক দলের নিবন্ধনের বিষয়টি আইন করে তাদের হাতে রাখতে চাচ্ছে। অর্থাৎ একটা সর্বগ্রাসী কর্তৃত্বের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থাকে নিচ্ছেন যেন গণতন্ত্রের জন্য কেউ আওয়াজ না তুলতে পারে। রাষ্ট্রের সমস্ত কিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে এটাই হলো ব্যাপার। এ যে জুলুম, উৎপীড়ন, গণতন্ত্রহীনতা এটার জন্য আজও নজরুল আমাদের প্রেরণা যোগায়। যার কারণে উচ্চারণ করি আমাদের সত্য কথাগুলো গণতন্ত্রের পক্ষে জুলুমের বিরুদ্ধে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জাসাসের সভাপতি মামুন আহমেদ, সহ-সভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লাসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০২০
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।