ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আমরা যে লড়াই করছি সেটা বাঁচা-মরার লড়াই: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
আমরা যে লড়াই করছি সেটা বাঁচা-মরার লড়াই: মির্জা ফখরুল মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা এখন যে সংগ্রাম করছি, যে লড়ছি করছি—সেটা আমাদের বাঁচা মরার লড়াই, এটা আমাদের অস্তিত্বের লড়াই, আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের লড়াই।

তিনি বলেন, আমরা জানি এই সংগ্রাম খুব কঠিন।

ডিক্টেটরশিপ থেকে ডেমোক্রেসিতে ফিরে আসা খুব কঠিন লড়াই। সেই লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হতে হবে।

শুক্রবার (২৮ আগস্ট) রাতে বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) এর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ড্যাব আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, আমাদের এখন যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। একদিকে আমাদের বিএনপির ঐক্য, সহযোগী ও অঙ্গসংগঠনগুলোর ঐক্য এবং অন্যদিকে একটা জাতীয় ঐক্য। জাতীয় ঐক্য তৈরি করে এই যে ভয়াবহ একটি একদলীয় শাসনব্যবস্থা আমাদের ওপরে চেপে বসেছে একে সরাতে হবে।

সরকারের দমননীতির কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের অনেক মানুষ ত্যাগ স্বীকার করেছেন, ৩৫ লাখ মানুষ আসামি হয়েছেন, এক লাখের উপরে মামলা হয়েছে। আমাদের হাজারের উপরে মানুষ খুন হয়ে গেছে। আমাদের ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ ৫০০ এর উপরে গুম হয়ে গেছে। অসংখ্য মামলায় জর্জরিত আমাদের সমস্ত নেতা-কর্মীরা। এই নিপীড়ন থেকে আমাদের চিকিৎসকরাও রেহাই পাননি। আজকে এই কোভিডের ফলে দেশে যে অর্থনৈতিক দুরাবস্থা সৃষ্টি হচ্ছে, মানুষ যে অসহায় অবস্থায় পড়ছে—এর থেকেও আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

তিনি বলেন, একদিকে যেমন করোনা প্রতিরোধের জন্য আমরা সবাই একতাবদ্ধ হয়ে কাজ করছি, বিএনপি অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠনগুলো—ড্যাব একইভাবে আজকে গণতন্ত্রকে রক্ষার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনবার জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়া—যিনি আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতীক তাকে মুক্ত করবার জন্যে, আমাদের নেতা যিনি সম্ভাবনাময়, আমাদের তরুণ নেতা তারেক রহমান সাহেবকে ফিরিয়ে আনবার জন্যে আমরা যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শুরু করেছি সেই আন্দোলনকে ঈপ্সিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে।

ড্যাবের সভাপতি ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস সালাম ও সিনিয়র সহসভাপতি আবদুস সেলিমের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল ম্ঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ড্যাবের অধ্যাপক ফরহাদ হালিম ডোনার, জহিরুল ইসলাম শাকিল, মেহেদি হাসান বক্তব্য রাখেন।

এই ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় ড্যাবের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক একেএম আজিজুল হক, মহাসচিব অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেনসহ বিভিন্ন জেলার চিকিৎসকরা যুক্ত ছিলেন।

সভায় ড. মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে আমরা দুটি দুর্যোগ অতিবাহিত করছি। একটা হলো আওয়ামী দুর্যোগ আর একটা কোভিড-১৯ এর দুর্যোগ। কোভিড-১৯ আসার সময় আমরা দেখেছি যে, করোনা সংকট শুরু হয়ে গেল তখন সরকার গুরুত্ব দেয়নি। তারা অন্য একটি অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত ছিল। তখন এই ড্যাব করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠান করেছিল। যখন সরকার ধামাচাপা দিতে চেষ্টা করছিল, তখন ড্যাব লিফলেট ছাপিয়ে প্রচার করেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।