ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন সঁপে দিয়েছেন শেখ হাসিনা’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
‘দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন সঁপে দিয়েছেন শেখ হাসিনা’

ঢাকা: বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারিয়েও বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঝুঁকি নিয়ে দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন সঁপে দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সিআরআইয়ের বিশেষ ওয়েবিনারের বক্তারা।

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) আয়োজিত ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘুরে দাঁড়ানো আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক একটি ওয়েবিনারের বক্তারা একথা বলেন।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল এ সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সুভাষ সিংহ রায়।

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৯৮১ সালে যেদিন শেখ হাসিনা এদেশে এলেন সেদিন ছিল ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ। আমরা এমন একজন ব্যক্তিকে বরণ করেছি সেদিন- আমাদের সব আছে কিন্তু তার মা নেই বাবা নেই, ভাই নেই। তবুও তিনি এদেশের মানুষের গণতন্ত্র নিশ্চিত করেছেন, একই সঙ্গে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি কথা বলার অধিকার দিয়েছেন। দিয়েছেন এই ডিজিটাল বাংলাদেশ।

মুক্তিযোদ্ধা ও সিনিয়র সাংবাদিক অজয় দাশগুপ্ত বলেন, দেশের বাইরে থেকে বঙ্গবন্ধুকন্যা তখন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করছেন। ১৯৮১ সালের পর দেশে এসে নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগলে রেখেছেন আওয়ামী লীগকে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, সংগ্রামমুখর জীবন শেখ হাসিনা একদম পরিবার থেকে দেখে আসছেন। বাবা-মায়ের সংগ্রামের যে মূল লক্ষ্য- মানুষের মধ্যে অগাধ ভালোবাসা তা শেখ হাসিনা পরিবার থেকে ধারণ করেছেন। সব ঝুঁকি জেনেও তিনি দেশে এসেছেন। বাংলার মানুষের অগাধ ভালোবাসা ও আস্থা নিয়েই তিনি ফিরে এসেছেন। বাঙালিও কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যাকে গ্রহণ করেছে ভালোবাসায়। সব রকম শঙ্কা নিয়েও তিনি নিজের ভাগ্যের কথা না ভেবে দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, শেখ হাসিনা শুধু বাংলাদেশকে নিয়ে এগিয়ে চলছেন তাই নয়, তিনি রয়েছেন মানবধর্মে। তিনি নেতৃত্ব দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় আমাদের পৌঁছে দেবেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছেন। এ কারণে নিজের জীবন তিনি বিপন্ন করেছেন। তিনি হয়েছেন অবিসংবাধিত নেতা। আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে চাই বঙ্গবন্ধুকে মনে নেই, কিন্তু আমরা শেখ হাসিনাকে দেখিছি। তরুণদের কাছে বলতে চাই ইতিহাস জানো। যে শিশুটি আজ জন্মাবে তাকে এই ঘুরে দাঁড়ানোর ইতিহাস জানতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০২০
এমইউএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।