ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ শনি ও রোববার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ শনি ও রোববার বিএনপির লোগো

ঢাকা: ঢাকা-১৮ ও সিরাজগঞ্জ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়ম, ভোট ডাকাতি ও নাশকতার মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ের প্রতিবাদে সারাদেশে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে যৌথ প্রতিবাদ সমাবেশ ও রোববার (১৫ নভেম্বর) সারাদেশের সব জেলা সদরে প্রতিবাদ সমাবেশ করবে দলটি।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে, গত বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) একেকটা কেন্দ্রের সামনে ২/৩/৪/৫শ’ করে বাইরের লোকজন এনে দাঁড় করে রেখেছে। যেই যাচ্ছে তাকে মেরে বের করে দেয়। এখানে নির্বাচনের নরমাল যে পদ্ধতি এর কোনো কিছুর সুযোগ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন বলুন আর যারা দেশ চালাচ্ছে তারা রাখেনি। সবচেয়ে বড় কথা পুলিশ এসব অপকর্মে সহযোগিতা করেছে। আওয়ামী লীগ নানা মিথ্যাচার করবে এ নির্বাচনকে জাস্টিফাই করার জন্য। কিন্তু কোনোভাবে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ’

রাজধানীতে বাস পোড়ানোর ঘটনা সরকারের এজেন্টদের অপকর্ম উল্লেখ করে এ ব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন, যুবদলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম নিরব ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুল রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘটনার নিন্দা জানান মির্জা ফখরুল। একইসঙ্গে গত রাত থেকে রাজধানীতে নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশি তল্লাশি ও অনেককে তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।
 

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বৃহস্পতিবার যে ঘটনাগুলো ঘটেছে এটা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ধরনের ঘটনা গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সাহায্য করে না, ক্ষতিগ্রস্ত করে। সে বিষয়ে আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি, একটি টিভি চ্যানেলে খবর প্রকাশ হয়েছে যে, সরকারি দলের ছাত্রলীগের এক ছেলেকে বৃহস্পতিবারের ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে এবং সে বলেছে যে, তাকে টাকা-পয়সা দিয়ে নিয়ে এসেছে আওয়ামী লীগের লোকেরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও এ খবরটি প্রকাশ হয়েছে। ’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। যে উপ-নির্বাচনটা হলো এটা একেবারেই নির্বাচন হয়নি। এটা একটা পাতানো ও জালিয়াতি নির্বাচন হয়েছে, সেটা থেকে জনগণের দৃষ্টিকে দূরে রাখার জন্য এ বাস পোড়ানোর ঘটনাগুলো ঘটানো হচ্ছে। এটা নিঃসন্দেহে সরকারের একটা পরিকল্পনা, নির্বাচন প্রক্রিয়াটা ধ্বংস করা এবং দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা তারই নমুনা আমরা দেখতে পারছি। ’

ঢাকা-১৮ আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার বিভিন্ন কেন্দ্রে আমাদের প্রার্থী নিজে এবং তার প্রধান এজেন্ট আবদুস সালাম গেছেন, সেখানে তারা দেখেছেন কেন্দ্রে ভোটারদের কোনো উপস্থিতি ছিল না। ভোটারদের বের করে দিয়ে তারা সন্ত্রাসীদের জড়ো করেছে। আমাদের প্রার্থীদের কেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ’

‘এটা কোনো নির্বাচন হয়নি, এটা একটা তামাশার নির্বাচন হয়েছে। সরকার ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের যৌথ প্রযোজনায় এ উপ-নির্বাচন ভোট ডাকাতির নির্বাচন হয়েছে, তামাশা হয়েছে। সরকারের ইচ্ছানুযায়ী তাদের প্রার্থীকে জেতানোর জন্য নির্বাচন কমিশনের যা কিছু করা দরকার তারা সেটাই করেছে। ’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২০
এমএইচ/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।