ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পরশের নেতৃত্বে ক্যাসিনো সংস্কৃতিমুক্ত যুবলীগের যাত্রা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
পরশের নেতৃত্বে ক্যাসিনো সংস্কৃতিমুক্ত যুবলীগের যাত্রা

ঢাকা: ক্যাসিনো সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে ক্লিন ইমেজের সংগঠন গড়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।

এক বছর আগে এই যাত্রা শুরু হলেও নভেম্বরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে নব উদ্যোমে মাঠে নেমেছে রাজপথের লড়াকু সংগঠনটি।

নেতৃত্বে রয়েছেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে শামস পরশ।

সংগঠনটির এক শ্রেণীর নেতাকর্মীর দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অপকর্ম ও ক্যাসিনো পরিচালনার সাথে জড়িয়ে পড়ায় সংগঠনের ইমেজ তলানীতে নেমে আসে। এই পরিস্থিতিতে গত বছর যুবলীগের প্রথম সারিসহ বিভিন্ন স্তরের বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে সরকার।

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। এই শুদ্ধি অভিযানের বড় ধাক্কা লাগে যুবলীগে। গত বছর ১৮ সেটেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই শুদ্ধি অভিযানে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরের কয়েকজন বিতর্কিত নেতাকে সংগঠনের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরমধ্যে আলোচিত ঘটনা ছিল ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের গ্রেফতার।

এই প্রেক্ষাপটে গত বছর ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কংগ্রেস (জাতীয় সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হয়। দুর্নীতি ও ক্যাসিনো মুক্ত ক্লিন ইমেজ ও সংগঠনের ভাবমুর্তি ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়ে এই সম্মেলনে দেওয়া হয় নতুন নেতৃত্ব। নতুন দায়িত্ব পান যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির সুযোগ্য ছেলে এবং বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ ফজলে শামস পরশকে।

এসময় তাকে সংগঠনের চেয়ারম্যান করা হয় এবং তার সঙ্গে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে আনা হয় মাঈনুল হোসেন খান নিখিলকে। সম্মেলনের প্রায় এক বছর পর যাচাই বাছাই করে গত ১৪ নভেম্বর যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের নেতারা জানান, আন্দোলন-সংগ্রামসহ রাজনৈতিক কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুবলীগ সব সময়েই গুরুত্বপূর্ণূ ভুমিকা পালন করে। সেই যুবলীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে বিভিন্ন পার্যায়ের নেতারা যখন ক্যাসিনো পরিচালনাসহ দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, অপকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে, তখন এই বিষয়টি ছিলো আওয়ামী লীগের জন্য মারাত্বক অস্বস্থির।

এছাড়া সংগঠনটির কিছু নেতার কারণে যখন আওয়ামী লীগ ও সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন হতে থাকে তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং কঠোর অবস্থানে চলে যান। অনেক চিন্তা-ভাবনা করে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। হারানো ইমেজ পুনরুদ্ধার এবং যুবলীগকে নতুন ধারায় নিয়ে আসার কথা চিন্তা করেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ফজলে শামস পরশকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পূর্ণাঙ্গ কমিটি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। নতুন কমিটির মাধ্যমে যুবলীগ তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে এবং গতিশীল একটি সংগঠনে পরিণত হবে বলেও আওয়ামী লীগ নেতারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২০
এসকে/এইচএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।