ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের স্বাধীনতার বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে সজাগ করতে হবে। জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন; আজ সেই স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে।

শনিবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বিএনপি গঠিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে উত্তরার বাসা থেকে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করেছিলেন। আজকে স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত হচ্ছে। সেই বিকৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমাদের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে। আমাদের নুইয়ে পড়লে চলবে না। ভবিষ্যত যে স্বপ্ন সেটা আলোচনার মধ্য দিয়ে এগুতে হবে। সেই লক্ষ্যে আমাদের বিভিন্ন আলোচনা, প্রকাশনা, ডকুমেন্টেশনের মধ্য দিয়ে নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়ার এই একটা সুযোগ আমাদের অবশ্যই নিতে হবে।

কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে কীভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী বছরব্যাপী পালন করা যায় তার কর্মকৌশল ও প্রস্তাবিত কর্মসূচি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে জাতীয় কমিটির বাইরে একটি স্টিয়ারিং কমিটি এবং অর্থ, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, ব্যবস্থাপনা, দফতর, প্রচার, প্রকাশনা, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়াসহ বিভিন্ন উপকমিটি গঠনের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিষয়ভিত্তিক প্রকাশনা, পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করবে বিএনপি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আবদুস সালামের পরিচালনায় বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জমির উদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, আবদুল্লাহ আল নোমান, শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, মনিরুল হক চৌধুরী, মিজানুর রহমান মিনু, মামুন আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল। অন্যদের মধ্যে ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, মাহবুবে রহমান শামীম, শ্যামা ওবায়েদ, শহিদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মহিদুর রহমান, জয়নাল আবেদীন, আশরাফ হোসেন উজ্জ্বল, গৌতম চক্রবর্তী প্রমুখ বক্তব্য দেন।

বৈঠকের বিষয়ে রোববার (২২ নভেম্বর) গুলশানে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানাবেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২০
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।