ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রূপগঞ্জে পাটমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যুবলীগের দুই গ্রুপে সংষর্ষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
রূপগঞ্জে পাটমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যুবলীগের দুই গ্রুপে সংষর্ষ

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শহীদ মিনারে আগে-পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা কেন্দ্র করে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হন।

 

রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার তারাব পৌরসভার সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনা কেন্দ্র করে এলাকাবাসী।  

এর আগে গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালেও পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির লোকজনের সঙ্গে পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর প্যানেল মেয়র পনির হোসেনের লোকজনের মাঝে সংঘর্ষ হয়।
  
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার সকাল ৯টার দিকে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক) ও তার সহধর্মিণী তারাব পৌরসভার মেয়র মিসেস হাসিনা গাজীসহ নেতাকর্মীরা সুলতানা কামাল সেতু সংলগ্ন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান। এসময় তারাব পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন ফরাজিসহ তার লোকজন পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান করেন।  

এছাড়া তারাবা পৌর যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেনসহ তার লোকজনও পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে শহীদ মিনারের সামনে অবস্থান নেন। এসময় আগে-পরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা নিয়ে উভয় গ্রুপের লোকজনের সঙ্গে তর্কতর্কি হয়। এক পর্যায়ে উভয় গ্রুপের লোকজনই পাট ও বস্ত্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই একে অপরকে কিলঘুষি মেরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে নাঈম, তানহা, অপু, রুবেলসহ অন্তত ১১ জনের মতো জখম হন বলে জানা যায়। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।  

পরে মন্ত্রী ও উপস্থিত পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়। দুই পক্ষই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।  
 
এ ব্যাপারে রুহুল আমিন ফরাজি বলেন, আমরা শহীদ মিনারে শান্তিপূর্ণভাবে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে গেলে আনোয়ার হোসেনসহ তার লোকজন বাধা দেয়।  

অপরদিকে আনোয়ার হোসেন বলেন, রুহুল ফরাজিসহ তার লোকজনই বাধার সৃষ্টি করে এ ঘটনা ঘটায়।  

এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান তুহিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, রূপগঞ্জে যুবলীগ শক্তিশালী। শহীদ মিনারের সামনে যুবলীগ নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেশি ছিল। ফুল দেওয়া নিয়ে ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। কিন্তু কারো সঙ্গে কোনো বিরোধ নেই। সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেনি।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহসিনুল কাদির বলেন, যুবলীগের দুই গ্রুপের হাতাহাতির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।    
বাংলাদেশ সময়: ২০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২১
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।