ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘শিশুদের জন্য সুন্দর আবাসস্থল করতে না পারার দায় আমাদের’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০২১
‘শিশুদের জন্য সুন্দর আবাসস্থল করতে না পারার দায় আমাদের’

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে শিশুদের জন্য সুন্দর একটি আবাসস্থল করতে না পারার দায়  আমাদের। আমরা যারা যুদ্ধ করে এদেশ স্বাধীন করেছিলাম, যারা কথা দিয়েছিলাম এ দেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবো।

এ সমাজকে ও রাষ্ট্রকে আমরা সহনশীল, উদার একটা রাষ্ট্র গঠন করবো। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য পুরোপুরিভাবে সেটা আমরা করতে পারিনি। আমরা নিজেদের মধ্যে দলাদলি করেছি, কোন্দল করেছি, বিভক্ত হয়েছি।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি মিলনায়তনে জিয়া শিশু একাডেমির উদ্যোগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১১তম জাতীয় শিশু শিল্পী প্রতিযোগিতা ‘শাপলা কুঁড়ি-২০১৯’ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল শিশুদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন,  স্বাধীনতার ৫০ বছরে আমাদের শিশুদের জন্য কি সত্যিকার অর্থে একটা ভালোবাসার দেশ, স্বপ্নের দেশ নির্মাণ করতে পেরেছি? তখন নিজের কাছে ঘৃণা লাগে, আমরা সেটা করতে পারিনি। আমরা আমাদের শিশুদের জন্য সেই আবাসস্থল তৈরি করতে পারিনি, যেখানে তারা নিরাপদে গড়ে উঠবে। সেখানে সত্যিকার অর্থেই ভালোবাসা, শান্তিময় একটা জগত তৈরি করা সম্ভব হবে। সবার কাছে আমার আহ্বান, আসুন আমরা সবাই মিলে উদ্যোগ নেই, চেষ্টা করি যে, আমরা আমাদের শিশুদের জন্যে সত্যিকার অর্থেই একটা শান্তিময় নিরাপদ পৃথিবী গড়ে তুলি, একটা জগত গড়ে তুলি। আসুন আমরা সবাই মিলে এ দেশটাকে সত্যিকার অর্থেই হাসি-গান আর ফুলের দেশ বানিয়ে তুলি। এটাই হোক আমাদের লক্ষ্য।

একাত্তরের স্বাধীনতার স্মৃতিচারণ করে মির্জা ফখরুল বলেন, এ বছর আমাদের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূরণের বছর, এ মাসটা স্বাধীনতার মাস। এ মাসে বাংলাদেশের মানুষরা নিজেদের মুক্ত করার জন্যে পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর হাত থেকে, আমরা যুদ্ধে নেমেছিলাম। সত্যিকার অর্থে যুদ্ধ কিন্তু। কোনো খেলা খেলা যুদ্ধ নয়। নয় মাস যুদ্ধ হয়েছে, বহু মানুষ মারা গেছে, বহু মানুষের ক্ষতি হয়েছে, প্রায় এক কোটি মানুষ বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছিল। এখানে গণহত্যা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিক্ষায় অধ্যক্ষ সেলিনা আখতার, স্বাস্থ্যসেবায় অধ্যাপক হাসিনা আফরোজ, সঙ্গীতে এএসএম শফি মণ্ডল, শিল্পায়নে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, প্রবাসী কল্যাণে খান মনিরুল মনি, জনপ্রতিনিধি মনিরুল আলম সেন্টু ও আদর্শ মা মৌসুমী সাহাকে ‘কমলপদক-২০২০’ দেওয়া হয়। পরে ক্ষুদে শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।


সংগঠনের নির্বাহী মহাপরিচালক এম হুমায়ুন কবীরের সভাপতিত্বে ও মাশুক সিদ্দিকী এবং নওশিন রথির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একাডেমির পৃষ্ঠপোষক এলবার্ট পি কস্টা, কণ্ঠ শিল্পী খুরশীদ আলম, জিনাত রেহানা, সামিনা আখতার সম্পা ও সুলতানা জামান জ্যোস্না প্রমুখ।

এ শিশু প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ২২ হাজার ক্ষুদে শিল্পীরা বাছাই পর্বে অংশ নিয়ে ৪৭৬ জন চূড়ান্ত পর্বে উত্তীর্ণ হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০২১
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।