ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

মিনুকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম, ক্ষমা না চাইলে মামলা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২১
মিনুকে ৭২ ঘণ্টার আলটিমেটাম, ক্ষমা না চাইলে মামলা

রাজশাহী: রাজশাহী বিভাগীয় সমাবেশে ৭৫' উল্লেখ করে হুমকি ও উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেছেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ নেতারা। এজন্য মিনুকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে মিনু ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করা হয়েছে।

বুধবার (৩ মার্চ) রাতে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের এক বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মিনুর এমন বক্তব্যের প্রতিবাদে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে মহানগর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সাহেব বাজার জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার।

এসময় নেতারা বলেন, মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেলে রাজশাহী মহাগরীর পাঠানপাড়ায় একটি কমিউনিটি সেন্টার চত্বরে বিএনপি বিভাগীয় মহাসমাবেশ করে।

সেখানে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু প্রধান অতিথি ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

সেখানে বক্তব্যের একপর্যায়ে মিনু বলেন, ‘আজ রাত, কাল আর সকাল নাও হতে পারে। ৭৫ মনে নাই?’

আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন, ‘আমরা লক্ষ্য করেছি, বিএনপি রাজপথের আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে মিজানুর রহমান মিনু সমাবেশে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে। ’

তারা মিজানুর রহমান মিনুকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির সামনে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন। তা না হলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

সমাবেশে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, '১২ বছর ধরে তাদের সরকার পতনের তর্জন-গর্জন জনগণ আর বিশ্বাস করে না। জনগণ বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। জনগণ দেশের স্থিতিশীল, শান্তি-শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। জনগণ দেশের দৃশ্যমান উন্নয়ন পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অন্যান্য দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখে সরকারের প্রতি তারা আস্থা রেখেছে। তারা বিএনপির আন্দোলনের নামে অশুভ তৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার। গতকাল বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনুসহ বিএনপির নেতারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে যে হুমকি, কটূক্তি ও অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন- তা রাজনৈতিক সব শিষ্টাচার বহির্ভূত। তারা দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার পরিচয় দিয়েছেন। এজন্য অবশ্যই জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।

সমাবেশ পরিচলনা করেন- মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আজাদ। এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মহানগর আওয়ামী লীগের অন্তর্গত থানা আওয়ামী লীগ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০২২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
এসএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।