ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগেও বৈষম্য হচ্ছে: মেনন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০২১
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগেও বৈষম্য হচ্ছে: মেনন

ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কেবল অপপ্রয়োগই হচ্ছে না, এর প্রয়োগেও বৈষম্য করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন।

শনিবার (৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, কেবল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপপ্রয়োগই হচ্ছে না, এর প্রয়োগেও বৈষম্য করা হচ্ছে। আইনের উদ্দেশ্য হিসেবে নারীর সুরক্ষা, রাষ্ট্রের সুরক্ষার কথা বলা হলেও প্রতিদিন ইউটিউব ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারীর অধিকার ও নারী নীতির বিরুদ্ধাচারণ করে যেসব বক্তব্য প্রচার হচ্ছে সেসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল আইনের কোনো প্রয়োগ দেখা যায় না। এ আইনের প্রয়োগ দেখা যায় না জাতীয় সঙ্গীতের বিকৃতিকরণে, এমনকি জাতির পিতার ভাস্কর্য নিয়ে বিদ্বেষমূলক, ধর্মীয় উস্কানিমূলক যেসব বক্তব্য প্রচার হচ্ছে তার বিরুদ্ধে। সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ, যৌন অপরাধ বেড়েই চলেছে। নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গীর পরিবর্তন না হলে নারী সমধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে মেনন বলেন, কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী এ আইন পর্যালোচনার কথা বলেছেন। ওয়ার্কার্স পার্টিও এ আইনের পর্যালোচনা করে আইনটি পরিপূর্ণ বাতিল বা তার নিপীড়নমূলক ধারাগুলো প্রত্যাহারের কথা বলেছে। কারাগারে লেখক মুশতাকের মৃত্যু বা কারা হেফাজতে কার্টুনিস্ট কিশোরের নির্যাতনের ঘটনাকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যায় না। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার মৃত্যু যেমন ‘ক্রস ফায়ার’ পরিপূর্ণ না হলেও তার নির্বিচার প্রয়োগ বন্ধ করেছে, তেমনি লেখক মুশতাকের মৃত্যু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে বিতর্ক-বিভ্রান্তি দূর করে স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে বলেই আমরা আশা করি।

সভায় সভাপতিত্ব করেন নারী মুক্তি সংসদের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য হাজেরা সুলতানা। সভা পরিচালনা করেন নারী মুক্তি সংসদের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শিউলি শিকদার।

সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তফা আলমগীর রতন, বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোবায়েদা পারভীন, কেন্দ্রীয় নেত্রী চন্দনা দে, অভিবাসী শ্রমিক ফোরামের সহ-সভাপতি আনিসা খাতুন টুনি, নারী মুক্তি সংসদের নেত্রী বিপাশা চক্রবর্তী, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক অতুলন দাস আলো।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৬, ২০২১
আরকেআর/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।