ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পাবনায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাবেক এমপি আরজুকে জড়ানোয় প্রতিবাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
পাবনায় অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাবেক এমপি আরজুকে জড়ানোয় প্রতিবাদ

পাবনা: পাবনায় অস্ত্র তৈরির কারখানায় পুলিশের অভিযানে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) দুপুরে পাবনার বেড়ায় স্থানীয় কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন পাবনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খন্দকার আজিজুল হক আরজু।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৮ মার্চ বেড়া উপজেলার নাটিয়াবাড়িতে একটি অবৈধ অস্ত্র তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে অবৈধ অস্ত্র ও জড়িত দু’জনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় ‘সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজুর ভাতিজার বাড়িতে অভিযান’ চালানো হয়েছে উল্লেখ করে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা ভিত্তিহীন ও মিথ্যা। যাকে আমার ভাতিজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তার সঙ্গে কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। একটি স্বার্থান্বেষী মহল আমাকে হেয় করতে মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করেছে।

তিনি অভিযোগ করেন, এ অপপ্রচারে বেড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু ও তার ভাই মুকুর প্রত্যক্ষ ও পরক্ষ ইন্ধন রয়েছে। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার নাম জড়িয়ে এবং আমার কোনো সম্পর্কেই আত্মীয় নন এমন এক পরিবারের দুই ভাইকে আমার ভাতিজা বানিয়ে মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্ভট ও মনগড়া সংবাদ পরিবেশন করাচ্ছেন।  

সাবেক এমপি আরজু আরও বলেন, বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু ও তার ভাইয়ের মাদকব্যবসা, জমি দখল, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র ও মিথ্যা রটানোয় ব্যস্ত।  

আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও সংসদ সদস্য ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে কেউ কোনো ধরনের অভিযোগ করতে পারবে না। অথচ জাতসাকিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পরপরই নানা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি বেপরোয়াভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন। রাজবাড়ী পাংশার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডাকাত রুস্তমকে এলাকায় এনে আশ্রয়-প্রশ্রয়ে বসন্তপুরে বসবাসের ব্যবস্থা করে দিয়ে অস্ত্র কেনাবেচা, মাদকের কারবার, চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্ম চালাচ্ছেন, অভিযোগ আরজুর।  

তিনি আইন শৃংখলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ডাকাত ও সন্ত্রাসী রোস্তম আলীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই অবৈধ অস্ত্র কারখানা, তৈরি, বাজারজাত ও সন্ত্রাসীদের হাতে পৌঁছে দেওয়াসহ সঠিক ও নেপথ্যে জড়িতদের তথ্য বেড়িয়ে আসবে।  

বেড়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে, তা সটিক নয়। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করেছেন তিনি। বিষয়টি প্রশাসন দেখছে। এখানে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।  

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৮ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২১
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।