ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িতদের বিচারের দায়িত্ব সরকারের: বাদশা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
সংখ্যালঘু নির্যাতনে জড়িতদের বিচারের দায়িত্ব সরকারের: বাদশা

রাজশাহী: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেছেন, ২০০৮ সালে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের শক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশকে অস্থিতিশীল করতে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন চলছে। প্রত্যেকটি ঘটনারই বিচার হতে হবে।

এ ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দায়িত্ব সরকারের।

সুনামগঞ্জে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং হামলায় উস্কানিদাতা হেফাজত নেতাদের গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার (২৪ মার্চ) বিকেলে রাজশাহীতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী জেলা ও মহানগর কমিটি।

ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরকারের দায়িত্ব পাল্টা জবাব দেওয়া। সরকার যদি না পারে, তাহলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাও ত্যাগ করিনি। আমরা লড়াই করতে জানি। লড়াই চালিয়ে যাবো। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা ২০০৮ সালে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নিরঙ্কুশভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নির্বাচিত হয়েছি। এরপর থেকে বার বার হেফাজত, জামায়াত এবং সাম্প্রদায়িক শক্তি বিদেশিদের প্ররোচণায় আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হিসেবে দেশের অগ্রগতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চেয়েছে। বার বার সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে। সংখ্যালঘু আদিবাসী পর্যন্ত আক্রান্ত হচ্ছে। কিন্তু সরকার সুনির্দিষ্টভাবে দায়ীদের চিহ্নিত করতে পারছে না। সুনামগঞ্জে যা হয়েছে তা নিয়েও বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা হচ্ছে। যুবলীগের নাম উঠেছে। তাহলে সেই যুবলীগে হেফাজত কী করে ঢুকলো, এটা আওয়ামী লীগকে দেখতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বেশকিছু দিন আগে বলেছিলেন, অনেক জামায়াত-বিএনপি এবং হেফাজত আওয়ামী লীগে ঢুকে পড়েছে। হাইব্রিড ঢুকে পড়েছে। স্বাধীনতার শত্রুরাও যদি আমাদের মিছিলে ঢুকে পড়ে তাহলে দেশের জনগণ নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়বে। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই এ রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হচ্ছে, যারা সাম্প্রদায়িকতা সৃষ্টি করছে, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডায় আক্রমণ করছে, তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটা বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া দরকার। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, অনতিবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক। এ বাংলাদেশে যারা সাম্প্রদায়িক শক্তির বিষবাস্প ছড়াচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এর কোনো বিকল্প নেই। ’

রাজশাহী মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক দেবুর পরিচালনায় কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন নগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য এন্তাজুল হক বাবু। সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন- কবিকুঞ্জের সভাপতি রুহুল আমিন প্রামাণিক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহানগরের সভাপতি ড. সুজিত সরকার, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক উপাধ্যক্ষ কামরুজ্জামান, রাজশাহী থিয়েটারের আহ্বায়ক নিতাই কুমার সরকার, ছাত্রনেতা তামিম শিরাজী।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২৪, ২০২১
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।