ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘খালেদা জিয়ার করোনার উপসর্গ নেই, হার্টেও সমস্যা নেই’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২১
‘খালেদা জিয়ার করোনার উপসর্গ নেই, হার্টেও সমস্যা নেই’ ফাইল ছবি

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসক ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, খালেদা জিয়ার হার্টে কোনো সমস্যা নেই। করোনার কোনো উপসর্গও নেই।

উনি এখন নন করোনা রোগী হিসেবেই চিকিৎসাধীন। কারণ আন্তর্জাতিক নিয়মেও দুই সপ্তাহ পর যদি রোগীর কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে তার আর করোনা টেস্টেরও প্রয়োজন নেই।

বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।  

এর আগে বুধবার বিকেলে খালেদা জিয়ার জন্য মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তার পরীক্ষা নিরীক্ষার রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করা হয়।

ডা. জাহিদ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গত ১০ এপ্রিল করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। ১৫ এপ্রিল তাকে সিটিস্ক্যান করার জন্য এভার কেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। গতকাল ২৭ এপ্রিল ওনার সিটি স্ক্যানসহ অন্যান্য চেকআপের জন্য পুনরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ওনার রাতে বিভিন্ন পরীক্ষা করা হয়। যেহেতু পরীক্ষায় সময় লেগেছে সেজন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
 
তিনি বলেন, ভর্তির পর বাসায় যে চিকিৎসা চলছিল তার সঙ্গে আরও কিছু ওষুধ যোগ করার পর উনি স্ট্যাবল আছেন। আপনারা জানেন কোনো কোনো পরীক্ষা করতে দুদিনও সময় লাগে। তাছাড়া গত দেড় বছর করোনার কারণে ওনার কোনো পরীক্ষা করানো হয়নি।

তিনি বলেন, আজ এভারকেয়ার হাসপাতালের ৭ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড ও ম্যাডামের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এফএম সিদ্দিকী, আমি ডা. জাহিদ, ডা. মামুন ছিলেন। সর্বসাকুল্যে দশ জনের বোর্ড সব পরীক্ষা নিরীক্ষা রিভিউ করেছেন।

ডা. জাহিদ বলেন, আমরা খুবই আশাবাদী যে উনি খুব শিগগিরই পরীক্ষা নিরীক্ষার পর বাসায় ফেরত যেতে পারবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ১৫ এপ্রিল যখন ওনার চেস্টের সিটিস্ক্যান করেছিলাম তখন বলেছিলাম যে, মিনিমাম ইনভলবমেন্ট আছে। আর গতকাল মঙ্গলবার যে চেস্টে  সিটিস্ক্যান করা হয়েছে তাতে চেস্টে বিন্দুমাত্র কোনো ইনভলবমেন্ট নেই। এটা সবচেয়ে ভালো দিক। তাছাড়া হার্টের মধ্যেও কোনো সমস্যা নেই। করোনার কোনো উপসর্গও নেই। উনি এখন নন করোনা রোগী হিসেবেই চিকিৎসাধীন আছেন। কারণ আন্তর্জাতিক নিয়মেও দুই সপ্তাহ পর যদি রোগীর কোনো উপসর্গ না থাকে তাহলে তার আর করোনা টেস্টেরও প্রয়োজন নেই। তখন ধরে নিতে হয় ওনার কাছ থেকে আর করোনা ছড়ানোর সুযোগ নেই।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সব পরীক্ষা শেষ হলে মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা পর্যালোচনা করার পরে বাসায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত হবে। আমরা আশা করি, সহসাই ওনার বাসায় ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২১
এমএইচ/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।