ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘লুণ্ঠনের কারণেই ১৭ ফাইল গায়েব’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
‘লুণ্ঠনের কারণেই ১৭ ফাইল গায়েব’ ছবি: ডিএইচ বাদল

ঢাকা: থলের বিড়াল বের হয়ে গেছে মন্তব্য করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেছেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ১৭টি ফাইল গায়েব হয়ে গেছে। সেই ফাইল থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করা হয়েছে।

সেই টাকা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে।

রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

আমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই যে ১৭টি ফাইল গায়েব হলো, কেন হলো? আপনারা দেখেছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জিনিসপত্র ক্রয় করেছে। সেই ক্রয়ের ফাইল গায়েব হয়ে গেছে। সেই ফাইল থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুণ্ঠন করা হয়েছে। সেই টাকা সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে নিম্ন পর্যায় পর্যন্ত ভাগবাটোয়ারা করে নিয়েছে। সেজন্য ১৭টি ফাইল গায়েব হয়ে গেছে। একটা মন্ত্রণালয় থেকে ১৭টি ফাইল গায়েব হয়, এটা কখনও দেখেছেন? আমরাও মন্ত্রিত্ব করেছি, কোনোদিন তো ফাইল গায়েব হয়নি।

দ্রব্যমূল্য প্রতিনিয়ত বাড়ছে উল্লেখ করে আমান উল্লাহ আমান বলেন, আজকে আওয়ামী লীগের মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে একটি কথাও বলেন না। আওয়ামী লীগের এমপি-মন্ত্রীদের একটি সিন্ডিকেট দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছে, এ ব্যাপারেও তারা কথা বলেন না। আজকে যারা প্রতিদিন বাজারে যাচ্ছে, তারা দিশেহারা হয়ে যাচ্ছে। জিনিসপত্র ক্রয়ক্ষমতার বাইরে, দাম লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এই সরকারের সেদিকে নজর নেই। নজর থাকবে কীভাবে তারা তো জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয়। তারা তো অবৈধ সরকার। এজন্য জনগণের প্রতি তাদের কোনো দরদ নেই।

তিনি বলেন, জনগণের দৃষ্টি অন্যদিকে সরানোর জন্য বিএনপি যেখানে মিটিং-মিছিল করে সেখানে হামলা করে, গুলি করে, টিয়ার শেল মারে, লাঠিচার্জ করে হাত-পা ভেঙে দিচ্ছে। কারণ তাদের পায়ের নিচে মাটি নেই। সেজন্য তারা পুলিশকে ব্যবহার করছে।

আমান বলেন, আওয়ামী লীগ সেদিন গুলিস্তান থেকে মিছিল বের করেছে। তারা মিছিল করতে পারবে অথচ বিএনপি চিঠি দিয়ে মিছিল করতে চেয়েছে, কিন্তু করতে দেবে না। আওয়ামী লীগ মিটিং-মিছিল করবে কিন্তু বিএনপি মিছিল-মিটিং করতে পারবে না। আমরা রাজপথ ইজারা দেইনি। আপনাদের বলতে চাই, জনগণের মুখ বন্ধ করতে পারবেন না। জনগণ ফুঁসে উঠেছে। তারা নিজের ভোট নিজে দেবে।

ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকনের সভাপতিত্বে ও ইকবাল হোসেন শ্যামলের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ফজলুল হক মিলন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদির ভূইয়া জুয়েল, ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি জাকির হোসেন, আশরাফুল আলম ফকির লিংকন, হাফিজুর রহমান, মামুন খান, মিজানুর রহমান সজিব, ওমর ফারুক, মোক্তাদির হোসেন তরু, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২১
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।