ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাগেরহাটে বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী পুলিশ হেফাজতে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
বাগেরহাটে বিএনপির ২৮ নেতাকর্মী পুলিশ হেফাজতে

বাগেরহাট: বাগেরহাটে জেলা বিএনপির সভায় পৌর বিএনপির সভাপতি শাহেদ আলী রবির নেতৃত্বে হামলার অভিযোগ উঠেছে।  

শনিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট মডেল থানা মোড়ে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে শতাধিক নেতাকর্মী এ হামলা করে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম।

এতে অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন।

এদিকে হামলার পরপরই ঘটনাস্থল থেকে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম, যুগ্ন আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম গোড়া, অহিদুল ইসলাম পল্টু, মোল্লা ইসহাক আলীসহ ২৮ নেতাকর্মীকে হেফাজতে নিয়েছে বাগেরহাট মডেল থানা পুলিশ। আটকের খবরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বাগেরহাট মডেল থানায় ভিড় জমায়। তবে নেতাকর্মীদের আটক বা গ্রেফতারের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত অসিত কুমার রায়।

পুলিশ হেফাজতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের নিয়ে আমরা সভা করছিলাম। হঠাৎ করে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালামের নির্দেশে পৌর বিএনপির সভাপতি শাহেদ আলী রবি, বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক তানু ভুইয়া, আব্দুস ছালাম জুয়েল ও বিএনপি নেতা হাফিজুর রহমান তুহিনসহ অনেকে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা আমাদের নেতাকর্মীদের মারতে শুরু করে। এতে আমাদের অন্তত ১০ নেতাকর্মী আহত হন। আহতরা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে হামলা শেষে যাওয়ার পথে কয়েকজন নেতাকর্মী বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক ড. শেখ ফরিদুল ইসলামের ব্যবহৃত প্যারাডো গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে জানান চালক মোঃ ফারুক হোসেন।

তিনি বলেন, স্যার (ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম) অফিসের মধ্যে মিটিংয়ে ছিলেন। গাড়ি নিয়ে আমি বাইরে অপেক্ষা করতে ছিলাম। হঠাৎ করে হট্টোগোল টের পাই। এক পর্যায়ে জুয়েল ও হাফিজুর রহমান তুহিনসহ ৪-৫ জন গাড়ির সামনে এবং পেছনে ইট মারতে শুরু করে। কোন মতে প্রাণ বাঁচিয়ে এলেও, গাড়ির সামনের ও পেছনের গ্লাস, লুকিং লাইটসহ গাড়ির গুরুত্বপূর্ণ বেশকিছু পার্টস ভেঙে যায়। এতে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী রামপাল উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক অজিয়ার রহমান বলেন, ভেতরে সভা হচ্ছিল, নেতাদের জন্য বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। হঠাৎ করে দেখলাম পৌর বিএনপির সভাপতি শাহেদ আলী রবির নেতৃত্বে কয়েকজন ধর ধর বলে ভিতরে প্রবেশ করল। পরবর্তীকালে অন্তত ১০-১২ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ভিতর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখেছি।

এদিকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে বাগেরহাট পৌর বিএনপির সভাপতি শাহেদ আলী রবি বলেন, আহ্বায়ক কমিটির সভায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম নেতাকর্মীদের সঙ্গে উত্তেজিত হয়ে কথা বললে হট্টোগোল শুরু হয়। তখন আমি ঘটনাস্থল থেকে চলে আসি। এর থেকে বেশিকিছু আমি জানিনা।

বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ সালাম বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। হামলার ঘটনা শুনেছি। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তারা দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছে। যাদের পুলিশ নিয়ে গেছে তাদের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানান এই নেতা।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি তদন্ত অসিত কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, বিএনপির ২৮ নেতাকর্মীকে থানায় আনা হয়েছে। তাদের বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সিদ্ধান্ত হলে জানানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।