ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারের: মিনু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৩৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
খালেদা জিয়ার কিছু হলে দায় সরকারের: মিনু গণঅনশন কর্মসূচি। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তার উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু।

শনিবার (২০ নভেম্বর) গণঅনশন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপির এই সিনিয়র নেতা এমন মন্তব্য করেন।

 

তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এখনও সময় আছে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানোর অনুমতি দিন। তার অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। তার কিছু হলে দেশে গণ বিস্ফোরণ ঘটবে।  

এর আগে, সকাল ৯টা থেকে সারা দেশের মতো রাজশাহীতেও গণঅনশন কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি ও তার অঙ্গ-সংগঠন।

রাজশাহীর ভুবন মোহন পার্কের ভেতরে আয়োজিত এ কর্মসূচির শুরুতেই কোরআন তেলোয়াত করা হয়। পরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া করে বিশেষ মোনাজাত হয়।   এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গণঅনশন শুরু করে বিএনপি। সেখানে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাদের এই গণঅনশন কর্মসূচি চলার কথা রয়েছে।  

এ সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু বলেন, তাদের নেত্রী খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তার অবস্থা ভালো নয়। কিন্তু এরপরও তিনি উন্নত চিকিৎসা পাচ্ছেন না। এখনই তাকে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা দরকার। কিন্তু ফ্যাসিবাদি সরকার তাকে এখন পর্যন্ত বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিচ্ছে না। তাই আমরা তার মুক্তি ও বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে অনশন কর্মসূচি পালন করছি।  

তিনি এ সময় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালনের জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।

মিনু বলেন,  দেশের মানুষ আজ ভালো নেই। দ্রব্যমূল্যের দাম যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। নিত্যপণ্যের অগ্নিমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। গরিব মানুষের পিঠ দেওয়ালে ঠেকে গেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই, শান্তি নেই। দেশ আবারও ১৯৭৪’র মতই ধাবিত হচ্ছে। এই সরকার জনগণের ওপর জল্লাদের মত চেপে বসেছে। ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রতিবাদ করলেই মামলা, হামলা, খুন, গুম এবং বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। আর জনগণের কাছে এই সরকারের দায়বদ্ধতাও নেই। তাই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।  

মিনু বলেন, বিশ্বের কোনো স্বৈরশাসকই বেশি দিন স্থায়ী হতে পারেনি। তাদের করুণ অবস্থা হয়েছে। হিটলারও নিস্তার পায়নি। দেশে এখন বাকশালী কায়দায় একনায়কতন্ত্র চলছে। জনগণের কোনো ধরনের স্বাধীনতা নেই।  

এ অবস্থা থেকে দেশের জনগণকে বাঁচাতে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা, তার মুক্তি ও দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো বৃহৎ আন্দোলনের ডাক আসবে। এই ডাকে সাড়া দিতে সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান মিনু।
 
কর্মসূচিতে উপস্থিতে আছেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মহানগর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট নাদিম মোস্তফা, মহানগর বিএনপির যুুুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, রাজপাড়া থানা বিএনপির সভাপতি শওকত আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু প্রমুখ।

এছাড়া বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, নভেম্বর ২০, ২০২১
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।