ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সহমর্মিতা দেখালে খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারবেন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১, ২০২১
সহমর্মিতা দেখালে খালেদা জিয়া বিদেশ যেতে পারবেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিমসহ অন্যরা

ঢাকা: রাজনীতির সব মত পার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে, অতীতের ভুল ভ্রান্তিকে ভুলে গিয়ে একান্ত মানবিকতার দিক বিবেচনায় সরকার সহমর্মিতা দেখালে খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম।

রোববার (২১ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার নেতৃত্বে ৫টি দলের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান ক্কারি মোহাম্মদ আবু তাহের, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা এবং লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির মহাসচিব শাহদাৎ হোসেন সেলিম দেখা করে এ কথা বলেছেন।

কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমরা পাঁচটি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য এসেছিলাম। আমাদের আসার উদ্দেশ্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা একটি বিষয়ে, তা হলো খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা। তাকে বিদেশে পাঠানো। এর জন্যই আমরা এসেছি। লিখিত আবেদন জমা দিয়েছি। সংক্ষিপ্ত মুখে ব্যাখ্যা করেছি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে কথা শুনেছেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছাবেন- এ বিষয়ে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমাদের আবেদনের সারমর্ম, খালেদা জিয়া এতটাই গুরুতর অসুস্থ যে দেশে চিকিৎসার মাধ্যমে তার সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কম। সরকার যেন বেগম জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেন- প্রধানমন্ত্রীর কাছে ব্যক্তিগত আবেদন। তিনি অনুমতি দিলে হয় সরকার বন্দোবস্ত করে, অথবা পরিবার বা দল বন্দোবস্ত করে তালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠাবে। এই কাজটি যদি করা হয় বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এটা সর্বশ্রেষ্ঠ মানবিকতার, উদারতার সৌজন্যবোধের দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকবে। ইতিহাসে লিপিবদ্ধ থাকবে।

সাবেক এ সেনা কর্মকর্তা নিজেকে একজন রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা উল্লেখ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আমলে আমি সেনাবাহিনীতে ছিলাম, তার আমলেই বীরপ্রতিক খেতাব পেয়েছি। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত আমি ব্যাক্তিগতভাবে সাক্ষী। তিনি কত উদার উদার ও মহৎ ছিলেন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের ভুলভ্রান্তি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখতেন। তাই আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি, প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আপনি তার দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে এই মহানুভবতা দেখান।

অতীতে এমন কোনো ঘটনা আছে কিনা- এর জবাবে, মোহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আমরা বলেছি অতীতের কোনো রেফারেন্স, কোনো আইন, দৃষ্টান্তের প্রয়োজন নেই। আপনি এককভাবে এ সিদ্ধান্ত নেন। কারণ আপনি সিদ্ধান্ত নিয়ে এরই মধ্যে দেখিয়েছেন যে তিনি (খালেদা জিয়া) জেলখানার বাইরে নিজের বাসায় আছেন। কাজেই আপনার সদিচ্ছাটা আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিলে তিনি বিদেশ যেতে পারেন।

২০ দলের পক্ষ থেকে এসেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এসেছি ৫টি দল বিবেচনায়। তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা অবশ্যই অবহিত আছেন। ওনারা আসবেন কিনা সেটা আমরা জানি না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২১,২০২১
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।