ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

টুকুর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের দাবি আ.লীগের

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২২
টুকুর মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের দাবি আ.লীগের

সিরাজগঞ্জ: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর মুক্তিযোদ্ধা সনদ ভুয়া উল্লেখ করে তা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা।

রোববার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের এস এস রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বাংলাদেশের কোথাও মুক্তিযুদ্ধ করেননি।

৭১-এর মুক্তিযুদ্ধকালীন তিনি পাকিস্তানের করাচিতে ছিলেন। তার বাবা আব্দুল্লাহ আল-মাহমুদ ছিলেন শান্তি কমিটির সদস্য।   বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর দেশে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরি করা হয়েছিল। সে সময় ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকেও মুক্তিযোদ্ধা বানানো হয়।

নেতারা আরও বলেন, তিনি কোন সেক্টরে যুদ্ধ করেছে সেটা বলতে পারবেন না। সম্প্রতি যাচাই-বাছাইয়ের সময় তাকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল, তিনি আসেননি।

উল্লেখ্য গত ৩০ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জে বিএনপি-আ.লীগের  সেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এনিয়ে ঢাকায় বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। তার এসব অভিযোগকে মিথ্যাচার দাবি করে রোববার পাল্টা এই সংবাদ সম্মেলন করে  সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান বলেন, ঢাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের উপস্থিতিতে সিরাজগঞ্জের ঘটনা নিয়ে নির্লজ্জ মিথ্যাচার করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর তারা সিরাজগঞ্জে সমাবেশের নামে অরাজকতা সৃষ্টির পায়তারা করেছিল। তারা সমাবেশে আসবে, তাহলে হাতে লাঠিসোটা, পেট্রোল বোমা, দেশীয় অস্ত্র কেন? সমাবেশ থেকে ৫ হাজার লোকের মিছিল নিয়ে শহরে নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করছিল। আমাদের নেতা-কর্মীরা তখন অপ্রস্তুত ছিল। এ অবস্থায়ও মানুষের জানমাল রক্ষায় তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। অস্ত্রধারীরা আমাদের দলের কেউ নয়, যাদের ছবি মিডিয়া এসেছে তারা আমাদের কোনো কর্মী নয়।

তিনি বলেন, ঢাকায় সংবাদ সম্মেলনে আমাদের সংসদ সদস্যসহ বেশ কিছু নেতা-কর্মীর নামে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সন্ত্রাস-খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যারা বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চারনেতাকে হত্যা করেছে তারাই আওয়ামী লীগকে খুনী বলে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতায় থাকতে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর অত্যাচারের কথা সবাই জানে। একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছিল। নাজমুল, সুজা, কুদ্দুসকে হত্যা করা হয়েছিল। তিনি স্বাধীনতার পর থেকে জাগদল, জাতীয় পার্টি ও বিএনপিসহ একাধিক দল করেছেন। কখনও আওয়ামী লীগ করেননি। স্বাধীনতার পর থেকেই তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধাচারণ করেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সহ-সভাপতি আবু ইউসুফ সূর্য্য, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, অ্যাডভোকেট বিমল কুমার দাস, হাজী ইসহাক আলী ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।