ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘বিরোধীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে সরকার’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২২
‘বিরোধীদের দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে সরকার’

ঢাকা: বিরোধীদের দমনে সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক ছাত্রদল নেতাকে দেখার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, এ সরকার মূলত সম্পূর্ণভাবে ফ্যাসিবাদী এক নায়কতন্ত্রের বিশ্বাসী একটি সরকার। তারা কোনো ধরনের ভিন্নমত বা ভিন্ন চিন্তা-ভাবনা সহ্য করে না। যার ফলে তারা গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়ে এবং অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিশেষ করে পুলিশকে ব্যবহার করে তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখতে চায়, দেশে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা তারা প্রতিষ্ঠা করতে চায়- সেই লক্ষ্যেই তারা কাজ করে চলেছে।

তিনি বলেন, আমরা আবারও বলছি, জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকারকে সরানো হবে এবং এ নির্যাতন-নিপীড়নের প্রতিউত্তর জনগণই দেবে।

পরে রাজধানীর সবুজবাগে ‘হেলথ এইড ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড হাসপাতালে’ গত ২২ ডিসেম্বর হবিগঞ্জের সমাবেশে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত জেলা ছাত্র দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ রাজিব আহমেদ রিংগনকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব। হবিগঞ্জে গুরুতর আহত হওয়ার পর প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে পরে ঢাকায় তাকে নিয়ে আসা হয়।

তিনি চিকিৎসকদের কাছ থেকে তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানেন। রাজিবের সারা শরীরে পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, আপনারা নিজেরা দেখেছেন, তার (রাজিব) সমস্ত শরীর গুলিবিদ্ধ হয়েছে। লাকিলি তার চোখটা বেঁচে গেছে। তবে মুখে, পিঠে, বুকে সমস্ত জায়গায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এটা আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে, হত্যার উদ্দেশে এ ধরনের গুলি করা হয়েছে।

এ সময় মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক এমপি শাম্মী আখতার, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নেতা হাবিবুর রশীদ হাবিব উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে গত ২২ ডিসেম্বর বিএনপি হবিগঞ্জে সমাবেশ আহ্বান করে। ওই সমাবেশে পুলিশ অতর্কিত হামলা ও গুলি করে। এতে ছাত্রদলের শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, আবদুল আহাদ তুষার, সাইদুর রহমানসহ অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।