ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, কাউকে ক্ষমতায় নিতে বা ক্ষমতাচ্যুত করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয়। জাতীয় পার্টি দেশের মানুষকে মুক্তি দিতেই রাজনীতি করছে।
রোববার (০৯ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিয়ম সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জাপা চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেন, দেশ ও মানুষের স্বার্থে জাতীয় পার্টি কাকে সমর্থন দেবে তাও পরে বিবেচনা করা হবে। জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র আদর্শ নিয়ে রাজনীতির মাঠে আছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে চায় না। দেশের মানুষ দুটি দলের বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপি এলে দেশের অবস্থা আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে, খারাপ অবস্থার ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হবে। বিএনপি বিনাবিচারে হত্যা শুরু করেছে, আওয়ামী লীগ এসে তার ধারাবাহিকতায় রক্ষা করছে। বিএনপি দুর্নীতিতে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছে, আওয়ামী লীগ এসে সেই ধারাবাহিকতায় রক্ষা করছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষ ভালো নেই। নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, কাজ নেই, মানুষের আয় নেই। তাই সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে দেশের বেশির ভাগ মানুষ।
জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান কাদের বলেন, নির্বাচনে সরকারি দলের টিকিট পেলেই সেখানকার পুলিশ ও প্রশাসনের একটি শ্রেণি নির্বাচনকে কলুষিত করতে উঠে পড়ে লেগে যায়। নির্বাচনের মাঠে প্রতিপক্ষকে দাঁড়াতেই দিতে চাচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। এক ইউএনও হাত থেকে নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র ছিড়ে ফেলেছে। তারপরও অনেক স্থানেই দেশের মানুষ লাঙলে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেছেন। অনেক স্থানেই লাঙলের বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এতেই প্রমাণ হচ্ছে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগ আর বিএনপিকে চায় না।
কিশোরগঞ্জ জেলা আহ্বায়ক কমিটি মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, কো- চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন খান, প্রচার সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুম, দপ্তর সম্পাদক-২ এম এ রাজ্জাক খান, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম, সমরেশ মণ্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় নেতা প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, রেজাউল করিম রেজা, জহিরুল ইসলাম মিন্টু।
এ সময়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নিউ মর্ডান ফিড মিলের পরিচালক মো. রুকুন উদ্দিন ভূঁইয়া এবং জেলা প্রেসক্লাবের বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আসাদুজ্জামান আসাদ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের হাতে ফুল দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা নেতাদের মধ্যে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন রেনু, নব নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী, আ. কাউম ভূঁইয়া, সাদেকুর রহমান, মোস্তাক খান প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৯, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস