ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১, ২০২২
বাসায় ফিরেছেন খালেদা জিয়া

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ৮০ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন।  

মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এভার কেয়ার হাসপাতাল থেকে তাকে নিয়ে গাড়ি বহর গুলশানের বাসায় রওয়ানা করে।

রাত আটটা ৩৫মিনিটের দিকে তার গাড়িবহর গুলশান-২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের বাসা ফিরোজায় পৌঁছায়। এ সময় গুলশানের বাসার সামনে সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন।  

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটা পর্যন্ত খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের সদস্যরা তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক দলের প্রধান প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদারসহ ১৫ জন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন।

প্রথমে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী।  

তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার দুইবার মেজর ব্লিডিং হয়ে উনার জীবন সংকটাপন্ন অবস্থায় চলে গিয়েছিল। এখন আমরা মনে করছি ওই ধরনের মেজর ব্লিডিং হওয়ার সম্ভবনা আপাতত নেই। কিন্তু মেডিক্যালের ভাষায় শতভাগ গ্যারান্টি দেওয়া যাবে না। আমরা মনে করি হয়তোবা সামান্য ব্লিডিং হতে পারে। সেটা হয়তো বাসায় রেখেও হ্যান্ডেল করা সম্ভব হতে পারে। এজন্য ওনাকে আমরা বাসায় যেতে দিচ্ছি। হাসপাতালে রাখলে করোনার যে ঝুঁকি তার চেয়ে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া নিরাপদ।

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশে সম্ভব কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে প্রফেসর ডা. শাহাবুদ্দীন তালুকদার বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যতগুলো চিকিৎসা সম্ভব ছিল সেটা আমরা দিয়েছি। আমরা আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক ও বাইরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি সবার একই মত, যে আপাতত এটা আমরা নিয়ন্ত্রণ করেছি। কিন্তু তার পারমানেন্ট ট্রিটমেন্টের জন্য বিদেশে যাওয়া প্রয়োজন।  

প্রফেসর ডা. শামসুল আরেফিন বলেন, উনার সবকিছুর মূলে হলো লিভারে সমস্যা। আমরা সাময়িকভাবে কিছুটা সমস্যার সমাধান করতে পেরেছি। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে সবকিছু বন্ধ করতে পেরেছি। সেটা পৃথিবীতে কেউ বলতে পারবে না, যে ওনার এই পর্যায়ে যা হয়েছে উনি বেঁচে গেছেন।  আবার যে কোনো সময় ব্লিডিং হতে পারে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর ডা. এ কে এম মহসিন, প্রফেসর ডা. নুর উদ্দীন আহমেদ, প্রফেসর ডা. শামসুল আরেফিন, প্রফেসর ডা. ফজলুল কবির, প্রফেসর ডা. এজেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. শেখ আবু জাফর, ডা. মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, ডা. লুৎফুল আজিজ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাইফুল ইসলাম, ব্রিগেডিয়ার ডা. ফেরদৌস শাহরিয়ার সাঈদ, ডা. আরমান রেজা চৌধুরী, ডা. মহিউদ্দিন আরাফ এবং ডা. আল মামুন প্রমুখ।

আরও পড়ুন>>

>>> বাসার উদ্দেশে হাসপাতাল ছাড়লেন খালেদা জিয়া

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।