ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘নতুন ইসি আইন জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২২
‘নতুন ইসি আইন জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না’

ঢাকা: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে লোক দেখানো সংলাপ করেছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের প্রতি সামান্যতম মূল্যায়ন না করে গঠিত ইসি আইন জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না বরং চলমান সঙ্কট আরও ঘনিভূত করবে।

শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর পুরানো পল্টনে আইএবি মিলনায়তনে জাতীয় শিক্ষক ফোরাম আয়োজিত শিক্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
 
মুফতী রেজাউল বলেন, ২০২৩ সালে পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা বাতিলের প্রস্তাবের মাধ্যমে ইসলামী শিক্ষা ধ্বংসের চক্রান্ত চলছে। ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে মানুষের মনুষ্যত্ববোধ হারিয়ে যাচ্ছে। অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা না থাকায় তরুণ প্রজন্ম বেপরোয়া হয়ে উঠছে। আগামী প্রজন্মকে রক্ষা করতে হলে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।

তিনি বলেন, যে দেশে আজানের ধ্বনিতে মানুষের ঘুম ভাঙে এবং বাচ্চারা ঘরে ফেরে, সে দেশে ইসলামী শিক্ষা নিয়ে চক্রান্ত বরদাশত করা হবে না। দুর্নীতিমুক্ত আদর্শ দেশ গড়ে তুলতে নাস্তিক্যবাদী শিক্ষানীতি বাতিল করতে হবে।

সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম, মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা ইমতিয়াজ আলম।

আয়োজক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে ও ইঞ্জিনিয়ার আহসানুল্লাহ খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, ইশতিয়াক মু আলআমিন, ইসলামী শিক্ষা উন্নয়ন বাংলদেশের মহাসচিব মো. আব্দুর রহমানসহ জেলা প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৪, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।