ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ঢাবিতে ছাত্র নির্যাতন ও ‘মিনি আদালত' বন্ধের দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২২
ঢাবিতে ছাত্র নির্যাতন ও ‘মিনি আদালত' বন্ধের দাবি


ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলগুলোতে  ছাত্র 'নির্যাতন' ও কথিত ‘মিনি আদালত'  দ্রুত বন্ধ না হলে 'ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হবে'  মন্তব্য করেছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি ও জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেছেন ছাত্রদের ওপর নির্মম 'নির্যাতন' ও মিনি 'আদালত' বসার সংবাদ প্রকাশের পরও কোনো প্রতিকার না হওয়া প্রমাণ করে দেশে কোনো সরকারের অস্তিত্ব নেই।

রোববার(১৩মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতীয় সংসদের সাবেক এই বিরোধী দলীয় নেতা বলেন,  এসব ঘটনায় প্রমাণ হয় প্রজাতন্ত্রে এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘নির্যাতন’ এবং 'মিনি আদালত' বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে পারে। আইন লঙ্ঘনে প্রতিকারের দ্রুত ব্যবস্থা না থাকলে যে ভয়াবহতা ও ধ্বংসলীলার উদ্ভব হবে তা নিয়ন্ত্রণের কোনো ক্ষমতা রাষ্ট্রের থাকবে না। বেআইনি 'মিনি আদালত' অব্যাহত থাকলে দেশের জনগণ সংবিধান, আইন ও শৃঙ্খলা মান্য না করে  নাগরিক দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকা শুরু করবে। তখন সে নৈরাজ্য প্রতিকারের সক্ষমতা রাষ্ট্রের হাতছাড়া হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমে খবর হয়েছে প্রতি রাতেই ঢাবির হলগুলোর গেস্টরুমে ‘মিনি আদালত’ বসিয়ে কথিত বিচার, নির্যাতন হয়। এখানে দুটি পক্ষ। এক পক্ষ যারা ছাত্র সংগঠনের নামে বিচারকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। দলীয় অনুষ্ঠানে না যাওয়ায় ঘুম থেকে তুলে এনে রাতভর নির্যাতনসহ অনেক ঘটনার সাক্ষী এই মিনি আদালত। আর এই আদালতের আসামি হয়ে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এই অমানবিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গত কয়েক মাসে হল ছেড়েছেন প্রায় ৩০ জন শিক্ষার্থী। এমনটিই জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

তিনি আরও বলেন, এরপরও সরকার গেস্ট রুম নির্যাতন এবং মিনি 'আদালত' বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। একটি ছাত্র সংগঠনের অনৈতিক ও বেআইনি স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ড প্রশ্নহীন ও প্রতিবাদহীন আনুগত্য দিয়ে প্রশ্রয় দেওয়া সরকারের কোনো কর্তব্য হতে পারে না।

জেএসডি প্রধান বলেন, ছাত্রদের ওপর 'নির্যাতন' ও মিনি 'আদালত' বন্ধে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। নতুবা উচ্চতর আদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট তার স্বীয় এখতিয়ার প্রয়োগ করে বেআইনি কার্যক্রম প্রতিকারের নির্দেশনা দিলে এই সঙ্কটের সমাধান হতে পারে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, ১৩ মার্চ, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।