ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সিলেট বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
সিলেট বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল স্থগিত

সিলেট: ২৪ ঘণ্টার আগেই স্থগিত হয়ে গেল সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল।

রোববার (২০ মার্চ) কেন্দ্রের নির্দেশে সম্মেলন ও কাউন্সিল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।



সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা মোতাবেক সম্মেলন সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেননা, বিশাল এ সম্মেলনে ভোটার তালিকা আগের রাতে করা নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রশ্ন তুলেছেন। সবকিছু সুন্দরভাবে সম্পন্ন হলেও ভোটার তালিকা কিছুটা সময় নিয়ে করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেছেন, তাতে স্বচ্ছতার বিষয়টি আরো সুন্দর হতো। যে কারণে নির্বাচনের আগের রাতে কাউন্সিলরদের ভোটার তালিকা প্রস্তুতের বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারেননি। ফলে আরেকটু সময় নিয়ে সম্মেলন করা উচিত মনে করেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তার পরামর্শক মোতাবেক সম্মেলন পেছানো হয়েছে। হয়তো আজকেই চিঠির মাধ্যমে পরবর্তী দিন তারিখ জানিয়ে দেওয়া হতে পারে।

তবে, মামলা সংক্রান্ত কারণে সম্মেলন পেছানো হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ওসমানীনগর বিএনপির কমিটি গঠন আদালতে গড়ালেও বিচারক দরখাস্তটি মামলা আকারে না নিয়ে সাত এপ্রিল শুনানির জন্য রেখেছেন। মামলা নেওয়া যাবে কিনা, ওই দিন ধার্য করা হবে।

তিনি বলেন, অন্তত এক সপ্তাহ আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হয়। সেটা আমরা আজ ফাইনাল করেছি। নির্বাচনের আগের দিন হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও এটা মেনে নিতে পারেননি।

সম্মেলনের অনুমতি পাওয়া প্রসঙ্গে ডা. শাখাওয়াত হাসান জীবন বলেন, সম্মেলন বিশাল পরিসরে হবে। যেখানে ১৩ উপজেলা ও ৫ পৌরসভাসহ ১৮ ইউনিটে কাউন্সিলর সংখ্যাই ১ হাজার ৮১৮ জন। তাদের জন্য সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছি। আর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়মানুসারে জানিয়েছি। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের সভা-সমাবেশ করার এখতিয়ার আছে। এখানে শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা যাতে বিঘ্ন না ঘটে এজন্য প্রশাসনকে জানানো। আমরা তাই করেছি।

কেন্দ্রীয় নেতাদের সম্মেলনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কেন্দ্র ও জেলার আহ্বায়ক কামরুল হাসান জায়গীরদারের পাল্টাপাল্টি চিঠির বিষয়ে তিনি বলেন, একজন মানুষের কাধে অনেক দায়িত্ব। তিনি ওভারলোডেড। না বোঝার কারণে এটা হয়েছে। এরপর লিখিতভাবে থেকে বিষয়টি খোলাসা করা হয়েছে। গঠন তদন্তের ৫৪ পৃষ্ঠার ১৫ নম্বর ধারা বিশেষ বিধান এক নেতা এক পদ। কোনো ব্যক্তি একইসঙ্গে একাধিক ইউনিটের সভাপতি, সম্পাদক নির্বাচিত হতে পারবেন না। আর প্রার্থী হতে গেলে তাকে আগের পদ ছাড়তে হবে। এছাড়া কেন্দ্রের কোনো কর্মকর্তা অন্য কোনো কমিটির নির্বাচন করতে পারবেন না, নির্বাচিতও হতে পারবেন না। তবে, অনির্বার্য কারণবশত; দলের চেয়ারম্যান চাইলে সাময়িকভাবে তাকে পদে নিতে পারেন।

সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে তিনি বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে আমরা সাতটি সাব কমিটিও করেছিলাম। পুনরায় তারিখ হওয়ার পর এ কমিটিগুলো কাজ করবে।

সিলেট জেলা বিএনপির সম্মেলন সোমবার (২১ মার্চ) সিলেট নগরের আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সম্মেলনের অনুমতি চেয়ে দল থেকে প্রশাসনে চিঠি দেওয়া হলেও পুলিশ প্রশাসন থেকে অনুমতি নেওয়া হয়নি। ফলে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়ে অনেকটা বেকায়দায় পড়তে হয় বিএনপিকে। শনিবার সম্মেলনস্থল প্রস্তুতে পুলিশ বাধা দেয়। পরে সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর হস্তক্ষেপে পুলিশ ফিরে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০২২
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।