শেরপুর: শেরপুর জেলা বিএনপির দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দুপুরের দিকে শেরপুর ডিসি গেট মোড়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মাসুদ সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হযরত আলী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামূল হোসেন আনন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসনাত ডিউন, শেরপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্র দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেনসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হন।
জেলা বিএনপির সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে হযরত আলী ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ গ্রুপের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলছিল। তারই ধারাবাহিকতায় ধরে মঙ্গলবার দুপুরে দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য ডিসি অফিস চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন। এ সময় অন্য আরেকটি গ্রুপ প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতায় হাতাহাতি বন্ধ হলে শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মোমিনুর রশীদের হাতে স্মারকলিপি দেন নেতারা।
স্মারকলিপি দেওয়া শেষ করে যাওয়ার পথে দু’গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশের পরিস্থিতি টের পেয়ে উভয়পক্ষের সমর্থকরা দৌঁড়ে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদুল হক রুবেলের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আহত আবুল হাসনাত ডিউন বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর সরকারি কলেজ শাখার ছাত্র দলের আহ্বায়কসহ মোট আটজন আহত হন। পরে তারা সবাই শেরপুর জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরে গেছেন।
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২২
এসআরএস