ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

গুম হওয়াদের সন্তানরা তাকিয়ে থাকে, কখন বাবা ফিরবে: মির্জা ফখরুল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
গুম হওয়াদের সন্তানরা তাকিয়ে থাকে, কখন বাবা ফিরবে: মির্জা ফখরুল

নারায়ণগঞ্জ: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগের রাতে ভোট হয়েছে, নিজেদের পছন্দ মতো লোককে পার্লামেন্টে বসানো হয়েছে। আইন-আদালত সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করা হয়েছে।

আমাদের শত শত নেতাকর্মীদের গুম করা হয়েছে। আমাদের গুম হওয়া নেতাকর্মীদের সন্তানরা তাকিয়ে থাকে, কখন তাদের বাবা ফিরে আসবে।

বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে ইফতারের আগে আড়াইহাজার উপজেলার পাঁচরুখী উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন আর গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে এত ভয় কেন? তারা কথায় কথায় মায়ের বুক খালি করে দেয়, সন্তানের কাছ থেকে বাবাকে গুম করে দেয়।  

তিনি বলেন, প্রতিবছর তারা তিন-চারবার করে দাম বাড়ায়। আর বিদ্যুতের দাম তো বাড়ছেই। একদিকে তারা দুর্নীতি করে আরেক দিকে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ায়। এদেশে একটা ভোট হয়েছে। আপনারা সবাই জানেন কীভাবে ভোট হয়েছে। সেখানে তারা তাদের পছন্দের লোকদের বসিয়ে দিয়েছে। আজ আইন-আদালত ধ্বংস হয়ে গেছে। এ আদালতের মাধ্যমেই খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানের নামে কোনো প্রমাণ নেই, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় পরে তার নাম যুক্ত করা হয়েছে। উচ্চ আদালতে তিনি আবেদন করেছিলেন আমার মামলা খারিজ করে দিন। সে মামলাটাকে তারা খারিজ করেননি। জোবায়েদা রহমানকেও তারা দেশে আসতে দিতে চায় না। আমাদের ছয়শ’র অধিক নেতাকে গুম করে দিয়েছে। আজ ইলিয়াস আলীর মেয়ে ও ছেলে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে কবে তাদের বাবা ফিরে আসবে। হাজার হাজার মানুষকে তারা হত্যা করেছে বিনা বিচারে। এভাবে এদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, সংবাদকর্মীরা কীভাবে চলবে সেটা নিয়ে এখন তারা আইন তৈরি করছে। এটা তাদের পুরানো অভ্যাস। ১৯৭৫ সালে একইভাবে আওয়ামী লীগ যখন হত্যা, গুম কোনোভাবেই আড়াল করতে পারছিল না তখন তারা বাকশাল করেছিল।  

তিনি বলেন, এতই যদি উন্নয়ন করে থাকেন তাহলে ভয় পান কেন। শেখ হাসিনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন দিয়ে দেখেন। এ দেশের মানুষ আপনাদের বিতাড়িত করে ছাড়বে।

তিনি আরও বলেন, যারা কথায় কথায় গুলি করে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়তে হবে। আমাদের নেতা আজ আট হাজার মাইল দূরে, আমার নেত্রী গৃহবন্দী। আমাদের লড়াই করে এর থেকে বের হতে হবে। যারা তারেক রহমানকে বিশ্বাস করেন তাদের একটাই কাজ, ঐক্যবদ্ধ থাকা। আজকে শুধু তারেক রহমান কিংবা খালেদা জিয়ার লড়াই নয়। আমাদের দেশ স্বাধীন রাখতে পারব কিনা, একটা সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে পারব কিনা সেই লড়াই। আমাদের এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা সরকারকে পরিষ্কার ভাবে বলেছি পদত্যাগ করুন এবং নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। একটা নতুন জাতীয় সরকার গঠন করা হবে। সে সরকার সবাইকে নিয়ে কাজ করবে। আসুন আমরা সবাই এক সঙ্গে এগিয়ে যাই।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটিু, সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এটিএম আব্দুল বারী, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মনিরুল ইসলাম রবি, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাসুকুল ইসলাম রাজীব প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এমআরপি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।