নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিনসহ আটজনের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ মামলার অন্য অভিযুক্তরা হলেন অধ্যক্ষ মুবিন সরকার, দেলোয়ার খান, আসাদুল ইসলাম আসাদ, পৌর কাউন্সিলর জোবায়দুর রহমান শাহীন, অনিবন্ধিত অনলাইন টিভি চ্যানেল এপিএন’র চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, যুবলীগ নেতা দিলনেওয়াজ খান ও রফসান চৌধুরী।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান মঙ্গলবার (১৭ মে) জানান, সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সাংবাদিক মোত্তালেব হোসেন হক বাদী হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনাল নীলফামারী অঞ্চল, রংপুরে এ মামলা দায়ের করেন। গত সোমবার (১৬ মে) আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন সৈয়দপুর থানা কর্তৃপক্ষকে। এর আগে দায়েরকৃত মামলাটিকে ঘিরে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য আদালত সৈয়দপুর থানাকে নির্দেশনা দিয়েছেন। গত ১২ মে মামলাটি দায়ের করা হয় আদালতে।
মামলার বাদী সাংবাদিক মোত্তালেব হোসেন হক বলেন, সৈয়দপুর পৌর এলাকায় বর্তমান পৌর পরিষদ রেলওয়ের ব্যাকবোন ড্রেনের ওপর মেয়র আখতার হোসেন বাদল পৌর সবজি বাজার নামে পাকা অবকাঠামো নির্মাণ করছেন। এ ঘটনার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। প্রকাশিত সংবাদের একদিন পরে ৮ এপ্রিল রাতে পৌর সবজি বাজার নির্মাণের ঠিকাদার আসাদুল ইসলাম আসাদের নেতৃত্বে আমাকে শহরের পাঁচমাথায় বেদম মারপিট করা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত লোকজন আমাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। আমি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর সামান্য সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। ঘটনার প্রতিবাদে ৯ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিনের নেতৃত্বে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভার প্রতিবাদে ১০ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন দুর্বৃত্তদের রক্ষা করতে শহরে পাল্টা মিছিল ও সভা করেন। এ সভায় তিনি মাইকে আমাকেসহ সাংবাদিক সমাজকে হেয় করে বক্তব্য দেন। তিনি তার বক্তব্যে সাংবাদিকদের লাথি মারার নির্দেশনা দেন তার অনুসারীদের। এরপর ১১ এপ্রিল আমার ছবিতে গলার জুতার মালা পড়িয়ে আমাকে চাঁদাবাজ আখ্যায়িত করে শহরের বিভিন্ন স্থানে বিলবোর্ড টাঙানো হয়। এমন অনৈতিক কাজে আমাকে এবং সাংবাদিক সমাজকে হেয় করার কারণে আমি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আদালতে মামলা করেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান মোখছেদুল মমিন ফোনে বলেন, আমি মামলার বিষয়ে কিছুই জানি না।
ওসি আবুল হাসনাত খান আরও জানান মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫৬ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
এসআই