ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কৃষক-মজুর সংহতির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২২
কৃষক-মজুর সংহতির প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

বগুড়া: সারাদেশে সাংগঠনিক কার্যক্রম পুনর্গঠন, দেশের কৃষক-মজুরের স্বার্থে কৃষি অর্থনীতির নীতি-কাঠামো নিয়ে আলোচনা এবং দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির দুই দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় দিতীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বগুড়ার চারমাথা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সেঞ্চুরি মোটেলে শুক্রবার সকাল ১০টায় সভাটি শুরু হয়ে শনিবার (২৫ জুন) বেলা ২টায় সমাপ্ত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির আহ্বায়ক দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলু। দ্বিতীয় প্রতিনিধি সভায় সারাদেশ থেকে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির সংগঠকরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রথম অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ কৃষকনেতা নাজার আহমেদ। সভায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম আমজাদ হোসেন, কৃষকনেতা কেরামত আলী, আলীম মোল্লা, আব্দুল আলিম, মিজানুর রহমান মোল্লা, আব্দুর রশিদ, মোকাদ্দেছ শিকদার, মোতাহার হোসেন, কামরুল হাসান লিটন প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সাবেক সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা সাদিক রেজা।

বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির দ্বিতীয় প্রতিনিধি সভার প্রথম দিনের প্রথম পর্বে ভারতীয় উপমহাদেশে ব্রিটিশ শাসন থেকে শুরু করে বর্তমান বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা পরবর্তী সাম্প্রতিক সময় পর্যন্ত কৃষক আন্দোলনের ইতিহাস পর্যালোচনা এবং বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি প্রতিষ্ঠার প্রেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভার প্রথম দিনের দ্বিতীয় পর্বে বর্তমান কৃষক রাজনীতির পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় উপস্থিত প্রতিনিধিদের মতামতের ভিত্তিতে দেওয়ান আবদুর রশিদ নিলুকে আহ্বায়ক, নাজার আহমেদ ও কেরামত আলীকে যুগ্ম আহ্বায়ক, জোনায়েদ সাকিকে সদস্য সচিব ও আব্দুল আলিমকে যুগ্ম সদস্য সচিব করে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট দ্বিতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়।

সভার দ্বিতীয় দিনে অনলাইনে যুক্ত হয়ে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির সদস্য সচিব জোনায়েদ সাকি সংগঠনের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কর্মসূচি বিষয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি এই সভায় সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারেননি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, কৃষকরাই দেশের চালিকা শক্তি। কৃষকরা পরিশ্রম করে আঠারো কোটি মানুষের খাবার যোগায়। অথচ জাতীয় বাজেটে সরকারের সকল নীতি পরিকল্পনায় কৃষক এবং কৃষিখাত থাকে উপেক্ষিত। বর্তমান সরকার গণমাধ্যমের স্বার্থ, অধিকার এবং সুবিধা-অসুবিধার কথা ভাবে না। সরকার সিন্ডিকেট ও লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যস্ত। গণমানুষকে তার যাবতীয় অধিকার পেতে হলে গণমানুষের স্বার্থরক্ষাকারী দলের নেতৃত্বে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কৃষক, শ্রমিকসহ মেহনতি গণমানুষের পক্ষে লড়াই করছি। সেই লড়াই-সংগ্রামে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি আগামীতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

সভার সমাপনী বক্তব্যে বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতির আহ্বায়ক দেওয়ান আব্দুর রশিদ নিলু বলেন, কৃষি ও বাজার ব্যবস্থা কৃষকের হাতে নাই। এখন বাজার ব্যবস্থা ও কৃষি বহুজাতিক কর্পোরেট পুঁজির ও লুটেরা শ্রেণির হাতে জিম্মি। সরকারি কৃষি অফিসাররা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেন কিন্তু উৎপাদিত ফসল লাভজনক দামে বিক্রয়ের ব্যাপারে তাদের কোনো উত্তর নেই। কৃষিনীতি খোদ কৃষকের স্বার্থে গ্রহণ করা হয় না। বাংলাদেশ কৃষক-মজুর সংহতি কৃষিকে প্রাণ-প্রকৃতির এবং কৃষকের স্বার্থে ঢেলে সাজানোর জন্য সংগ্রাম করছে। আগামীতে এই লড়াই সংগ্রাম আরও বেগবান করতে আমরা এই প্রতিনিধি সভা করছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫২ ঘণ্টা, জুন ২৫, ২০২২
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।