ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শিক্ষক নির্যাতন-হত্যা হত্যার ঘটনায় বিচার দাবি গণসংহতির

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
শিক্ষক নির্যাতন-হত্যা হত্যার ঘটনায় বিচার দাবি গণসংহতির

ঢাকা: নড়াইলে শিক্ষক নির্যাতন ও সাভারে শিক্ষক হত্যার ঘটনায় সরকার ও প্রশাসনের ব্যর্থতা ও ইন্ধনই প্রধান ভূমিকা রেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল।

বুধবার (২৯ জুন) এক যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ এ মন্তব্য করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নড়াইলে ঘটনায় দেখা যায় ইসলাম ধর্মের নবীর অবমাননাকারী নূপুর শর্মার বক্তব্যকে সমর্থনকারী শিক্ষার্থী জনরোষ থেকে বাঁচতে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন কুমার বিশ্বাসের কামরায় আশ্রয় নেওয়ার ঘটনাক্রমে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে জুতার মালা পরাবার ঘটনার সময়ে স্থানীয় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত ছিলেন। জানা গিয়েছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কারণে স্বার্থ হাসিল করতে না পারা স্থানীয় সরকার দলীয় ব্যক্তিরাই এই পুরো ঘটনার সুযোগ নিয়ে মানুষকে ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। অন্যদিকে দেখা যায় প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনার সামাল দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। তাদের এই ব্যর্থতার কারণ অদক্ষতা যেমন, তেমনি বলা যায় একটা স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সাথে কোনো বিশ্বাসযোগ্যতার সম্পর্ক না থাকা। কিন্তু এটা পরিষ্কারভাবেই বলা যায়, শিক্ষককে জুতার মালা পড়াবার মতো অসম্মানের উস্কানি যে সকল স্থানীয় নেতৃবৃন্দ দিয়েছে এবং জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে তার বাস্তবায়ন হয়েছে, তারা সকলেই এই ঘটনার জন্য নানান মাত্রায় দায়ী।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে আমরা বারবার বলেছি, একচ্ছত্র, প্রশ্নহীন ক্ষমতার চর্চা যখন দেশের সকল স্তরে দেখা যায় তা সমাজের ভেতরও উগ্রতার বিকাশ ঘটায়। এবং আইন ও বিচার নিজের হাতে তুলে নেবার লক্ষণ দেখা যায়। নড়াইলে শিক্ষকের সাথেও এই ঘটনা ঘটেছে। এখানে পুলিশ নীরব থেকে বরং অপরাধ সংগঠিত হতে দিয়েছে এবং অপরাধীদের সহায়ক হতে দেখা গিয়েছে।

তারা বলেন, সাভারে শিক্ষক নির্যাতন ও হত্যার ঘটনায় এখনো হামলাকারীকে গ্রেফতার করতে দেখা যায়নি। সংবাদপত্র মারফত জানা যায় হামলাকারী প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান, স্কুল কমিটির সভাপতির নাতি এবং স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য। দুই দিন পার হয়ে গেলেও যে স্ট্যাম্প দিয়ে শিক্ষককে প্রহার করা হয়েছে তা আলামত হিসেবে পুলিশ সংগ্রহ করেনি। ক্ষমতার কাছাকাছি থাকলে যে অপরাধ করেও বিচারের সম্মুখীন হতে হয় না, এ ধারণা যখন সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয় তখন যারা নিজেদের ক্ষমতাবান মনে করেন তখন তারা যা খুশি তাই করতে থাকেন। তাই আমরা প্রথমেই এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবি করি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৪ ঘণ্টা, জুন ২৯, ২০২২
পিআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।