ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন হচ্ছে: গণফোরাম

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন হচ্ছে: গণফোরাম

ঢাকা: গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, সরকার উৎপাদনহীন খাতে বরাদ্দের নামে মহা লুটপাট করছে কিন্তু বেকার যুবকদের জন্য কোনো কর্মসংস্থানের সৃষ্টির উদ্যোগ নেই। আপনারা উন্নয়নের যে কল্পকাহিনী শোনাচ্ছেন এগুলো জনগণের উন্নয়ন নয়, আপনাদের সুবিধাভোগী দুর্নীতিবাজদের উন্নয়ন।

শুক্রবার (১ জুলাই) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে গণফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে তিনি কথা বলেন।

মন্টু বলেন, বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে দুঃশাসনের রাজত্ব কায়েম করে মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকার থেকে বহুদূর চলে গেছে। ছয় দফাকে কবর দিয়েতো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন হয় না। আপনারা বলুনতো এ সরকারের আমলে ছয় দফার একটি দফাও কী জীবিত আছে? পাকিস্তান আমলে ভোট-ভাতের অধিকার নিয়ে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, আজ ৫০ বছর পরেও একইভাবে ভোটের অধিকার আদায়ে লড়াই করছি, বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছি। তাহলে আপনারা কীভাবে? কোন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নের কথা বলছেন? মুক্তিযুদ্ধ কোটার নামে তরুণ মেধাবীদের দেশের সেবা করা ও নেওয়া থেকে বঞ্চিত করছেন। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলো সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের মাধ্যমে কার্যকরী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।

নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাইয়িদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে-বিপক্ষে বলে দেশে বিভাজন সৃষ্টি করছে ক্ষমতাসীন কর্তৃত্ববাদী সরকার। প্রতিনিয়ত সংবিধান পরিপন্থী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। সামাজিক খাতে বরাদ্দ সবচেয়ে কম। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম ধনী-গরিবের বৈষম্য কমাতে। কিন্তু এরা দুর্নীতির মাধ্যমে আরও বৈষম্য সৃষ্টি করছে।

সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, পাকিস্তানিরা দেশকে মেধাশূন্য করতে ১৪ ডিসেম্বর বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছিল। সেভাবেই বর্তমানে দেশ যাতে মেধাবীদের কর্তৃক পরিচালিত না হয় সেজন্য হাসিনা সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করছে।

অ্যাডভোকেট মহসীন রশিদ বলেন, রাষ্ট্রের অরাজকতা ভয়াবহ সংকটের দিকে ধাবিত করছে। আমরা যখন কেউ মুমূর্ষু হই তখন আমাদের হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয় ঠিক তেমনিভাবে একটা রাষ্ট্র যখন অর্থনৈতিকভাবে মুমূর্ষু হয়ে পড়ে তখন সে আইএমএফ’র কাছে অর্থের সহায়তা দাবি করে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পঙ্গু করে আইসিইউতে ভর্তি করেছে এ অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লতিফুল বারী হামিম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, মহিলা সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শাপলা, ছাত্র সম্পাদক মো. সানজিদ রহমান শুভ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য খলিলুর রহমান ঝান্টু, মতিউর রহমান খোকন, মো. ফারুক হোসেন, কামাল উদ্দিন সুমন, শেখ শহিদুল ইসলাম, অখিল কর্মকার, রিয়াদ হোসেন, নকিব আহমেদ, এশেক আলী আশিক, আনোয়ার ইবরাহীমসহ ঢাকা মহানগর ও কেন্দ্রীয় নেতারা।

সম্মেলন সঞ্চালনায় ছিলেন গণফোরাম ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. তাজুল ইসলাম।

সম্মেলনে হাবিবুর রহমান বুলুকে সভাপতি ও মো. তাজুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।