ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু: কাদের ফাইল ছবি

ঢাকা: দেশের মানুষ যখন আনন্দমুখর পরিবেশে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন, তখন বিএনপির মিথ্যাচার, আর বিদ্বেষ প্রসূত বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক বলেও মন্তব্য করেছেন  তিনি৷

সোমবার (১১ জুলাই) নিজের সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে ঈদের দিনে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে এ মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, পবিত্র ঈদের দিনে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে  বিএনপি নেতারা ঘৃণ্য এবং পরশ্রীকাতর রাজনীতির পরিচয় দিয়েছে। বিএনপি যে মানুষের আনন্দ-বেদনার সঙ্গে একাত্ম হতে পারে না তার প্রমাণ পবিত্র ঈদের দিনে তাদের মিথ্যাচার এবং বিষোদগার।

তিনি বলেন বিএনপি নেতাদের এসব বিলাপ ক্ষমতার প্রতি তীব্র হাহাকারের দীর্ঘশ্বাস। সুশাসনের অন্যতম অনুষঙ্গ হচ্ছে দায়িত্বশীল বিরোধী দল। যারা দিনরাত সরকারের বিরোধিতাকে রাজনীতির লক্ষ্য করে নিয়েছে, তারা সুশাসন নিশ্চিত করতে এ পর্যন্ত কী করেছে? বিএনপি গণতন্ত্রের প্রকাশ্য শত্রু, সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারক ও উস্কানিদাতা, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের প্রশ্রয়দাতা এবং ধর্মান্ধ গোষ্ঠীরও উস্কানিদাতা। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে মর্মান্তিক গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী বিএনপি। এদেশে রাজনীতিতে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, জীবন্ত মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে মারা যাদের ঐতিহ্য এবং নিয়মিত চর্চার অংশ, তাদের মুখে সুশাসনের কথা মানায় না৷ এসব কথা বলার আগে আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখুন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রকৃতপক্ষে বিএনপিই হচ্ছে দুঃশাসনের প্রতিভূ, গণতন্ত্র বিনাশী এক রাজনৈতিক অপশক্তি। আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ বিএনপির সময়কালে দেখানো তথাকথিত সুশাসন মানে জনগণের কণ্ঠরোধ, ভোটারবিহীন নির্বাচন, ভোটাধিকার হরণ। তাদের সুশাসন মানে বিদ্যুৎহীন খাম্বা, সার আর বিদ্যুতের জন্য মানুষ হত্যা, বিদেশে অর্থ পাচার, সংখ্যালঘু নির্যাতন। বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটির কথা বলার আগে বিএনপি কি ভুলে গেছে- তারাই বঙ্গবন্ধুর খুনীদের রক্ষার জন্য ইনডেমনিটি দিয়েছিল। অপারেশন ক্লিন হার্টের সময় বেগম খালেদা জিয়াও ইনডেমনিটি দিয়েছিলেন। বিএনপির ইনডেমনিটি খুনীদের রক্ষা করার জন্য, আর শেখ হাসিনা সরকার ইনডেমনিটি দিয়েছে উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে, জনগণের কল্যাণে। বিএনপি দেশকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিল, আর শেখ হাসিনার সরকার সে অন্ধকার থেকে দেশকে আলোকিত করেছে।

বিএনপিই এদেশে চিহ্নিত লুটেরা এবং অর্থপাচারকারী দল মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদেশের আদালত কর্তৃক প্রমাণিত সন্ত্রাসী দল বিএনপি। তারাই চায় এদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হোক। কিন্তু দেশের জনগণ তা হতে দেবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শিখিয়েছেন। বিএনপি তার দেশি-বিদেশি দোসরদের নিয়ে যত অপচেষ্টাই করুক, যত ষড়যন্ত্রই করুক এদেশকে আর কখনো দাবিয়ে রাখা যাবে না ইনশাআল্লাহ। কোনো ষড়যন্ত্রই শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির ধারাকে রোধ করতে পারবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৯ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।