ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শাজাহান সিরাজের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
শাজাহান সিরাজের ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

ঢাকা: মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম পরিকল্পক-রূপকার, সাবেক মন্ত্রী শাজাহান সিরাজের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার (১৪জুলাই)। দীর্ঘদিন ক্যানসারে ভুগে ২০২০ সালের এই দিনে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন।



দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শাজাহান সিরাজ ফাউন্ডেশন, কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজ এবং শাজাহান সিরাজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে  নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনানী কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। ঢাকা ও টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে কুরআনখানি, দুঃস্থ শিশুদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ, কালিহাতীর মসজিদ ও মন্দিরগুলোতে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে।

এছাড়া শাজাহান সিরাজ ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সকালে কালিহাতীতে মরহুমের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। মরহুমের জীবন ও কর্মের উপর কালিহাতী শাজাহান সিরাজ কলেজের পক্ষ থেকেও এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

শাজাহান সিরাজ ১৯৪৩ সালের ১ মার্চ টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬২ সালে হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন বিরোধী আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি ছাত্র-রাজনীতিতে প্রবেশ করেন।  
১৯৬৪-৬৫ এবং ১৯৬৬-৬৭ দুই মেয়াদে দুইবার করটিয়া সা’দাত কলেজের ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন সক্রিয় ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ৬ দফা ও ১১ দফা আন্দোলন এবং ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৬৭ সালে শাজাহান সিরাজ সাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসে যোগ দেন। ১৯৭০ সালের ৬ জুন গভীররাতে তৎকালীন ইকবাল হলে শাজাহান সিরাজের কক্ষে নির্মিত হয় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের প্রথম পতাকা।  

১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে বিশাল এক ছাত্র জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সামনে স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেছিলেন শাজাহান সিরাজ। পরে যুদ্ধ শুরু হলে তিনি বাংলাদেশ লিবারেশনফোর্স’ (বিএলএফ) বা মুজিব বাহিনীর কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

শাজাহান সিরাজ ১৯৭০-৭২ মেয়াদে অবিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) গঠন করেন। জাতীয় সংসদের টাঙ্গাইল-৪ কালিহাতী আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৪ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে তিনি পলিথিন নিষিদ্ধকরণ, টু স্ট্রোক ইঞ্জিন বন্ধ, ইটের ভাটার দূষণ রোধের মাধ্যমে পরিবেশ আন্দোলন নতুন প্রাণ সঞ্চার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২২
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।