ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘অপরাজনীতি বন্ধে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
‘অপরাজনীতি বন্ধে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার’

ঢাকা: এদেশে অপরাজনীতি বন্ধ করতে হলে অপরাজনীতির ধারক বাহক বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিগোষ্ঠীর রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। তাহলে অপরাজনীতি বন্ধ হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচামন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, তারা যদি রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়ায় তাহলে অপরাজনীতি বন্ধ হবে না। যারা এগুলোকে লালন পালন করে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, তাদের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। তাহলে অপরাজনীতি বন্ধ হবে।

রোববার (২১ আগস্ট) দুপুরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হওয়া ভবন ও তারেক রহমানের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় খালেদা জিয়ার জ্ঞাতসারে এবং তৎকালীন সরকারের পরিপূর্ণ পৃষ্ঠপোশকতায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। সেদিন অলৌকিকভাবে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে রক্ষা পেয়েছিলেন। সেদিন বেগম আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত হয়েছিলেন এবং ৫ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ৬ জন সংসদ সদস্য এই ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। এ ঘটনার পর সংসদে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনার জন্য বলা হয়, তখন খালেদা জিয়া সেই প্রস্তাব আনতে দেননি। বরং এ ঘটনা নিয়ে হাস্যরস করা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ ঘটনা তদন্তের জন্য ডিজিএফআইয়ের পক্ষ থেকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কাছে অনুমতি চাইলে দেওয়া হয়নি। সেনাবাহিনীর যে অফিসাররা গ্রেনেডগুলো সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন, মেজর শামস সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, এজন্য তাকে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে। এগুলো প্রমাণ করে রাষ্ট্রযন্ত্র, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকলে যুক্ত ছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এটি জানতেন। তারেক রহমান ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফর রহমান বাবরের প্রত্যক্ষ পরিচালনায় করা হয়েছিল। আমি এই মামলায় দুটি বিষয়ে সাক্ষী দিয়েছি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে সেই খুনি চক্র নানাভাবে নানা প্রশ্ন তুলে বিদেশিদের কাছে গিয়ে মানবাধিকারের কথা বলেন। ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তরিত করে জিয়াউর রহমান এ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে, যেভাবে রাতের অন্ধকারে সেনাবাহিনীর জোয়ানদের ডেকে নিয়ে গিয়ে ফাঁসিতে ঝুলানো হয়েছিল, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে, সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে গাড়িতে পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে সাধারণ মানুষকে হত্যা করেছে। বিএনপির কাছে এ সবকিছুর জবাব চাই আমরা। আজকে তারা মানবাধিকারে কথা বলে, গুম খুনের কথা বলে। অনেকে গুম হয়েছে বলে প্রচার করেছে, তারপর দেখা গেছে ফিরে এসেছে। বিএনপির নেতাদের তো তারাই গুম করেছে। আজকে তারা গুম-খুনের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, এদেশে অপরাজনীতি বন্ধ করতে হলে অপরাজনীতির ধারক বাহক যারা বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিগোষ্ঠী; তারা যদি রাজনীতিতে দাপিয়ে বেড়ায় তাহলে এ অপরাজনীতি বন্ধ হবে না। যারা এগুলোকে লালন পালন করে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়, তাদের রাজনীতি বন্ধ হওয়া দরকার। তাহলে অপরাজনীতি বন্ধ হবে।

জামায়াতকে আইন করে বন্ধ করার কথা বলেছিলেন, সেটা কেন করতে পারলেন না জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথমত এটি নিয়ে আইনগত ব্যাখ্যা আমি দিতে পারবো না। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রী ভালো ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। তবে আমি মনে করি, যারা এ ধরনের অপরাজনীতি করে, প্রতিহিংসার রাজনীতি করে, প্রতিপক্ষকে হত্যার রাজনীতি করে; হত্যার রাজনীতিতে যাদের জন্ম তারা তো হত্যার রাজনীতি করবেই। তাদের রাজনীতি বন্ধ না হলে এ অপরাজনীতি বন্ধ হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২২
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।