ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপি-জামাত জোটকে সম্পূর্ণ স্তব্ধ করে দিতে হবে: মায়া

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
বিএনপি-জামাত জোটকে সম্পূর্ণ স্তব্ধ করে দিতে হবে: মায়া

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, বিএনপি-জামাত জোট হচ্ছে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি। এরা দেশের শত্রু, জাতীয় শত্রু।

এরা মিথ্যাবাদী, ষড়যন্ত্রকারী এবং গুজব ছড়ায়। এদেরকে সম্পূর্ণ স্তব্ধ না করা পর্যন্ত আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) বেলা ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সম্প্রীতির পথে সাফল্যের অগ্রযাত্রা স্লোগানে ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতা ২১ আগস্ট’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মায়া বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার দিকে এগিয়ে যেতে হবে। স্বাধীনতা বিরোধী, রাজাকার, আলবদর, আল শামস কোনোদিন যেনো ক্ষমতায় না আসতে পারে এর জন্য ভোটের মাধ্যমে নৌকা মার্কাকে জয়যুক্ত করতে হবে।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি যে-ই হোক তাকে ক্ষমতায় এবং বিরোধী দলেও স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি থাকতে হবে।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২১ এ আগস্ট গ্রেনেড হামলা পর্যন্ত আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। গ্রেনেড হামলার দিন একমাত্র আল্লাহ তাকে ওহির মাধ্যমে বাঁচিয়েছে বলে আমি মনে করি। না হলে সেদিন বাঁচার কোনো উপায় ছিল না। এ হত্যার পরিকল্পনা জিয়ার রক্ত- তার স্ত্রী, তারেক রহমানের। যা প্রস্তুত করা হয়েছিল হাওয়া ভবন থেকে। এ পরিবারটাই একটা খুনি পরিবার।

তিনি বলেন, এদের হাতে খুনের রক্ত। এরা আইন মানে না, গণতন্ত্র মানে না, ভোটে বিশ্বাস করে না, নির্বাচনে বিশ্বাস করে না। তাদের পায়ের তলায় মাটি নেই। তারা বঙ্গবন্ধু পরিবারকে হত্যা করে দেশকে ধ্বংস করে নিজেদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চায়।

মায়া বলেন, একাত্তরের খুনি, জেল হত্যা, পঁচাত্তরের খুনি, গ্রেনেড হামলার খুনি সব একই সূত্রে গাঁথা। একই প্রেতাত্মা হয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছে।

মায়া অন্যান্য বক্তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, এসব ঘটনা যারা ঘটিয়েছে শুধু তাদের বিচার হয়েছে। তবে এর পেছনে যারা কুশীলব ছিলেন তারা জীবিত অথবা মৃত হোক তাদেরকে চিহ্নিত করে জাতির সামনে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।

সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় উক্ত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ। রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল কাহহার আকন্দ, তরুণ রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক রাশেক রহমান প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
এমকে/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।