ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যর জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে: নানক

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
আন্দোলনের নামে নৈরাজ্যর জবাব দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে: নানক

ঢাকা: সরকারবিরোধী আন্দোলন মোকাবিলায় নেতাকর্মীদের রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ষড়যন্ত্র হচ্ছে, যদি দেশে আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

সোমবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে ২১ আগস্ট উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন , আজকে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নির্লজ্জভাবে বলেছেন, দেশের মানুষ না কি জ্বলছে? দেশের মানুষ কোথায় জ্বলছে? আপনাদের মন জ্বলছে। কারণ আপনাদের ক্ষমতাটা দখল করা দরকার। কারণ দেশের এই জনগণ সত্যিকারের ইতিহাস জানতে পারছে। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের ইতিহাস জানতে পেরেছে। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করেছিলেন, সেই ৭ মার্চের ভাষণ এখন সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কাজেই অনেক জ্বালা আপনাদের আছে। কারণ আপনি আপনার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কোনো দায়িত্ব পালন করতে পারেন না। সব নির্দেশনা আসে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারী যাকে দেশের আদালত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন, অর্থলোভী লুটপাটকারী তারেক রহমানের কাছ থেকে। লন্ডন থেকে আপনাকে নির্দেশ দেয়, তাই জ্বালা আপনাদের রয়েছে।  

তিনি বলেন, নির্বাচন ও আন্দোলনের নামে মানুষ হত্যা করেছেন আপনারা। আপনাদের পলাতক তারেক রহমানের নির্দেশে এই দেশে ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা হয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৩ সালে ক্লিনহার্ট অপারেশনের নামে আমাদের শতাধিক নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন আপনারা। আওয়ামী লীগকে পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়াতে দেননি। আর আপনারা একদিকে কথা বলবেন আরেকদিকে বললেন কথা বলার অধিকার নেই। আমাদের ক্ষমতা থেকে টেনে হেঁচড়ে নামানোর কথা বলবেন, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কথা বলবেন। তারপরও বলবেন আপনাদের কথা বলার স্বাধীনতা নেই।

তিনি আরও বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের দলের নেতাকর্মীরা দেশের সব কঠিন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। আপনাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। এই দেশে যদি আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।

সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা মাথা চাড়া দিয়ে উঠলেই প্রতিহত করতে হবে। এজন্য আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। ছাত্রলীগ দেশের ইতিহাসের সঙ্গে অবিচ্ছিত অংশ।

তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের জন্য আমাদের প্রস্তুত হতে হবে। নির্বাচনে বিজয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। আগস্ট মাসের এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ওই পরাজিত অপশক্তিকে আগেও প্রতিহত করা হয়েছে এবারও প্রতিহত করতে হবে। আমাদের নেতাকর্মীদের বলব-আপনারা সবাই সজাগ থাকুন। যেখানে ষড়যন্ত্র হবে সেখানেই প্রতিহত করতে হবে। দেশবিরোধী এ ধরনের ষড়যন্ত্রকারীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিহত করে নিশ্চিহ্ন করে দিতে হবে। এই হোক আজকের দিনে আমাদের শপথ।

সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন।

ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।  

এছাড়া সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০২২
এসকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।