ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, এএসপিসহ ১০ পুলিশ আহত, গুলিবিদ্ধ ৮ 

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষ, এএসপিসহ ১০ পুলিশ আহত, গুলিবিদ্ধ ৮ 

নরসিংদী: নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শতাধিক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পুলিশ।

 

সংঘর্ষে ১০ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) সাহেব আলী পাঠান। এছাড়া এর মধ্যে আটজন গুলিবিদ্ধ রয়েছেন।

রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর ২টার দিকে মনোহরদীর হাফিজপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

বিএনপির আহত নেতাকর্মীদের পাশের শিবপুর ও কিশোরগঞ্জের ভাগলপুরসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি ও ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমের মৃত্যুর প্রতিবাদে দুপুরে মনোহরদী উপজেলার হেতেমদীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশের আয়োজন করে বিএনপি। অপরদিকে একই সময় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে চন্দনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দোয়া, মিলাদ ও গণভোজের আয়োজন করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ।

পাশাপাশি দু’টি সভা হওয়ায় সহিংসতা এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
 
দুপুর একটার দিকে হাফিজপুর গ্রাম থেকে বিএনপির সাবেক এমপি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুলের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর এলাহী, জেলা যুবদলের সভাপতি মহসিন হোসাইন বিদ্যুৎ, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান দোলনসহ জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীরা অংশ নেন।  

এসময় মিছিলের সামনের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ছিল। মিছিলটি কিছুদূর এগুলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়ান। একপর্যায়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় শতাধিক রাবার বুলেট ও শর্টগানের গুলি ছোড়ে পুলিশ। ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়ায় পুলিশের সঙ্গে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এতে নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্য নির্বাহী সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদী। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।
 
সংঘর্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠানসহ ১০ পুলিশ সদস্য এবং আটজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।

সাবেক এমপি সরদার সাখাওয়াত হোসেন বকুল দাবি করেন, মিছিল নিয়ে বের হওয়ার পরই পুলিশ অতর্কিত আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ২৭ জন গুলিবিদ্ধসহ ৩৮ জন আহত হয়েছেন।
 
আহত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান জানান, মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশ সতর্ক অবস্থানে ছিল। কিন্তু বিএনপি নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা ও দা নিয়ে মিছিল বের করেন। তাদের বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর চড়াও হন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করা হয়। বিএনপি নেতাকর্মীদের হামলায় তিনিসহ পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হন। এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।