ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

কেরানীগঞ্জে গয়েশ্বরের বাড়িতে আ.লীগের হামলার প্রতিবাদ

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
কেরানীগঞ্জে গয়েশ্বরের বাড়িতে আ.লীগের হামলার প্রতিবাদ

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা): দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা  আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর বিরুদ্দে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে অতর্কিত হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপি।

সোমবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে জিনজিরা বাস রোডে দক্ষিণ থানা বিএনপি অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

এতে লিখিত বক্তব্য রাখেন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু।   তিনি অভিযোগ করেন, দেশব্যাপী জ্বালানি তেল, গ্যাস ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ করতে যেয়ে ৩১ জুলাই ভোলায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আব্দুর রহিম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। একই দিনে ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম পুলিশের গুলিতে আহত হন এবং পরে মারা যান। এই হত্যাকাণ্ড ও জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ঘোষণা করে।

তিনি বলেন, সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ২২ আগস্ট তেঘরিয়া ইউনিয়নে একটি মশাল মিছিল করি। সেই মিছিলে আমাদের নেতৃত্ব দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড.রুহুল কবির রিজভী আহমেদ ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল আশফাক, কেরানীগঞ্জ উপজেলা দক্ষিণ শাখা বিএনপি সভাপতি অ্যাড. নিপুণ রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু। তখন হঠাৎ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ তাদের অতর্কিত আক্রমণ করে। এতে আমাদের অনেক নেতাকর্মী গুরুতর মারাত্মক আহত হন। এছাড়া আমাদের তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি খোরশেদ জমিদারের মালিকানাধীন মার্কেটেও তাণ্ডব চালায়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের গুণ্ডাবাহিনী সদস্যরা শুধু হামলা করে ক্ষান্ত হয়নি, উল্টো আমাদের ৫১জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। সোমবার (২৯ আগস্ট) আমাদের পাঁচটি ইউনিয়নের সাতটি সাংগঠনিক এলাকাতে কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে দক্ষিণ থানা সভাপতি অ্যাড. নিপুণ রায়ের নেতৃত্ব মশাল মিছিল হয়। শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে যখন নেতাকর্মীরা সুশৃংখলভাবে বাড়ি ফিরছিলেন, তখন থানা সভাপতির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। এরপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে ওই এলাকা থেকে আমাদের স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুন্না বিপ্লবকে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

এই বিএনপি নেতা বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের পর স্থানীয় আওয়ামী গুণ্ডাবাহিনী একটি অটোরিকশা এনে সেটা জ্বালিয়ে দেয়, যাতে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করতে পারেন। আমরা জানতে পেরেছি কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানায় আমাদের ৮৪ জন নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কেরানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে আমাদের গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছি।

সংবাদ সম্মেলনে কৃষকদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা জেলা বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দীন মাষ্টার, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর শাহ নেওয়াজ ও আলী হোসেন আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ঈশা খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ২০২২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০২২
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।