ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু হত্যা: ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে ৩১ ডিসেম্বরের আগেই কমিশন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
বঙ্গবন্ধু হত্যা: ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে ৩১ ডিসেম্বরের আগেই কমিশন সংসদে আইনমন্ত্রী -ফাইল ছবি

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করতে আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে এবং ৩১ ডিসেম্বরের আগে তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আগামী প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধতা থেকে ‘কমিশন অব ইনকোয়েরি অ্যাক্টের’ অধীনে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে বলেও জানান তিনি।

বুধবার (৩১ আগস্ট) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ১৪৭ বিধির আওতায় আনা প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ৭৫’র খুনি-চক্রান্তকারীদের প্রেতাত্মারা এখনো ক্ষান্ত হয়নি। আজও তারা ঘৃণ্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় ফিরে এসে ইতিহাসের ঢাকাকে ঘুরিয়ে দিতে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সব চক্রান্ত ব্যর্থ করার শপথ নিতে জাতীয় সংসদে এ সাধারণ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এ প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

আইনমন্ত্রী বলেন, খুনিরা শধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেনি, তার পরিবারের সদস্যদেরকেও হত্যা করেছিল। তারা সন্দেহ করেছিল বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যরা যদি বেঁচে থাকে তাহলে তার আদর্শেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তাদের সন্দেহ সঠিক ছিল। আমরা দেখেছি বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাবার আদর্শেই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আজকে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড নিয়ে এই সংসদে আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু তারা (বিএনপির এমপি) সংসদে নেই। তারা এই হত্যার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যারা বঙ্গবন্ধুকে প্রত্যক্ষভাবে হত্যা করেছে তাদের বিচার হয়েছে।

তিনি বলেন, এখানে হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে কারা জড়িত ছিল তা খুঁজে বের করতে কমিশন গঠন করার কথা বলা হয়েছে। আমি আজ বলতে চাই আগামী ১৬ ডিসেম্বরের পরে আমরা একটি কমিশন গঠন করব। সেই কমিশনের দায়িত্ব হবে কোনো প্রতিহিংসা থেকে নয়, কোনো প্রতিশোধের জন্য নয়। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা উন্নয়নশীল দেশ করেছেন। এই উন্নত দেশ যদি তৈরি করতে হয় এবং তা যদি টিকিয়ে রাখতে হয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের স্বরূপ উন্মোচন হওয়া দরকার। তা না হলে আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে দায়বদ্ধ থাকব। দায়বদ্ধ থেকে কমিশন অব ইনকোয়েরি অ্যাক্টের অধীনে এই কমিশন গঠন করা হবে। নতুন প্রজন্ম, ভবিষৎ প্রজন্ম জানতে পারবে যারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তাদেরকে চিহ্নিত করে দিয়ে যাই। যারা বেঈমানি-মীর জাফরী করেছে তাদের পরিচয় উদঘাটন করতে হবে। যাদের পরিচয় দেওয়া হবে তারা আর দেশকে নষ্ট করতে পারবে না। সেই কমিশন তদন্ত রিপোর্ট দেবে। নেপথ্য ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৩ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০২২
এসকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।