ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ভারত থেকে এবার কী আনবেন প্রধানমন্ত্রী, দেখতে চান ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
ভারত থেকে এবার কী আনবেন প্রধানমন্ত্রী, দেখতে চান ফখরুল

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগেও কয়েকবার ভারত সফর করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভাষ্য, সরকার প্রধান আগের সফরগুলোয় ভারতকে নাকি ‘দিয়ে এসেছেন’।

কী দিয়ে এসেছেন নির্দিষ্ট করতে না পারলেও প্রধানমন্ত্রী এবারের সফর থেকে কী নিয়ে আসবেন, সেটি দেখতে চান বিএনপির এ জ্যেষ্ঠ নেতা।

সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় এ কথা জানান মির্জা ফখরুল। সাইফুর রহমান স্মৃতি পাঠাগার স্মরণ সভাটির আয়োজন করে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই না। কারণ, আমাদের অভিজ্ঞতা এত তিক্ত, হতাশ হওয়ার মতো। প্রত্যেকবার দেখেছি অত্যন্ত হতাশার সঙ্গে, নিরাশার সঙ্গে; শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে এসেছেন কিন্তু নিয়ে আসেননি। আমরা প্রত্যেকবার আশা করেছি যে এবার হয়তো প্রধানমন্ত্রী আমাদের জন্য কিছু নিয়ে আসবেন। দেখেছি তিনি দিয়ে এসেছেন কিন্তু নিয়ে আসেননি। সুতরাং, আগে আসুক তিনি ঘুরে- কী নিয়ে আসেন দেখি; তারপরে মন্তব্য করব।

মির্জা ফখরুল বলেন, ৭৫ সালে যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছিল তার আগে ছিল সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি। যারা (আওয়ামী লীগ) সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে বিশ্বাস করত না; তারা বললেন আমরা সমাজতন্ত্র অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করব। তারপর সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির কোনো কাঠামোই তৈরি হলো না। যেটা তৈরি হলো সেটা হলো- লুটপাটের অর্থনীতি। ৭২ থেকে ৭৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল সম্পূর্ণ লুটপাটের অর্থনীতি।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, এখনও একই অবস্থা চলছে প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে। রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে, সেতু নির্মাণ হচ্ছে; যে সেতুটা এক বছরে নির্মাণ করা সম্ভব সেটা করছে ১০ বছরে, ১৫ বছরে। ঢাকা থেকে টঙ্গীর যে রাস্তা সেটা আজ ১০ বছর যাবত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমান প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি পড়াশোনা করেছিলেন হিসাববিজ্ঞানের ওপর। সে কারণেই কোনটা করলে লাভ হবে আর কোনটা করলে না। আর কোনটা করলে ঋণগ্রস্ত হবো; আর কোনটা করলে অনেক বেশি লাভবান হবো- সেটা তিনি খুব ভালো করে জানতেন। সে কারণেই তিনি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। যে কাজটা দেশের জন্য ভালো মনে করতেন তিনি সেটাই করতেন। আর সেই কাজটা করার জন্য যা যা করা দরকার ছিল তিনি তাই করতেন।

সভাপতির বক্তব্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সাইফুর রহমান একজন দেশপ্রেমিক নেতা ছিলেন, শুধু রাজনীতিবিদ ছিলেন না। আজকে যারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে তারা ইভিএম’র মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে- নেতাদের লুট করা, লুট করে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা, ধনী হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেওয়া। সাইফুর রহমান ইচ্ছে করলে এই সুযোগ করে দিতে পারতেন। কিন্তু একটি লোককেও এই সুযোগ করে দেননি। কেন দেননি দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে।

তিনি বলেন, যারা আজকে অর্থনীতিকে লুটপাট করে দেশকে দেউলিয়া করে ফেলেছে সাইফুর রহমান বেঁচে থাকলে তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামতেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সিলেট জেলা বিএনপির আহবায়ক কাইয়ুম চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, মোকতাদির চৌধুরী, বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন আলম ও কামরুজ্জামান রতন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২২
এমএইচ/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।