ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বর্তমান সরকার জনসমর্থনহীন: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২
বর্তমান সরকার জনসমর্থনহীন: মির্জা ফখরুল

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান সরকার জনসমর্থনহীন। সেজন্য ভারতের সঙ্গে অভিন্ন সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারছে না।

মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন সভাপতি এস এম জিলানী ও সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের নিয়ে শেরে বাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ভারতের সঙ্গে যে আমাদের অভিন্ন সমস্যাগুলো আছে, অভিন্ন নদীর পানি বন্টন সমস্যা, সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের হত্যা করা এবং অন্যান্য যে সমস্যাগুলো আছে এই সমস্যাগুলোর সমাধান বাংলাদেশ সরকার এখন পর্যন্ত করতে পারেনি। পারেনি কারণ যে, ওদের পেছনের জনগণের সমর্থন নেই, সেটাই হচ্ছে বড় কারণ। সেজন্য এখন পর্যন্ত সেই শক্তি নিয়ে এই সরকার কোনো কাজ করতে পারেনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি গতকালও বলেছি, উনি (শেখ হাসিনা) তো প্রত্যেকবার আমাদের অনেক আশা দিয়ে গেছেন-এই তিস্তা চুক্তি সই হবে, ওমুক হবে, তমুক হবে এখন পর্যন্ত কোনোটাই হয়নি।

আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, ১০০ বিলিয়ন ডলার সাহায্য দিয়েছিল সেটারও ৩০ শতাংশ মাত্র কাজ হয়েছে। আর কোনো কাজ হয়নি। এ বিষয়গুলো নির্ভর করে জনগণের শক্তির ওপরে। জনগণ যদি এ সরকারকে সমর্থন দিতো তাহলে প্রত্যেকটি কাজই ইতোমধ্যে হয়ে যেতো। আমি আবারো বলছি, উনি ফিরে আসুন, কি কি আনছেন দেশের মানুষের জন্য-সেটাই হবে এ সফরের সাফল্য।

ভারতের পালাম বিমানবন্দরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে একজন প্রতিমন্ত্রী ছিলেন বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। কারণ এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আগের যে বক্তব্যগুলো এবং এই সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রীদের যে বক্তব্যগুলো সেই বক্তব্য তো খুব স্পষ্ট যে, ওরা যেভাবেই রিসিভ করুক, তারা যাবে এবং সেটা নিয়ে তাদের খুব একটা বড় রকমের সমস্যা থাকবে না। আমি আগেই বলেছি যে, এই সরকার একেবারের একটা নতজানু সরকার। এ সরকার তাদের বন্ধুদের সমর্থন ছাড়া টিকে থাকা কঠিন এবং বন্দুক-পিস্তল নিয়ে তাদের টিকে থাকা কঠিন হবে। তারা চাইবে যে, সামনে নির্বাচনের আগে সেটাকে যদি কোনো রকম আরও শক্তিশালী করতে পারে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এ নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে আমি কোনো কথা বলতে চাই না। কারণ এ নির্বাচন কমিশনকে আমরা মানি না। আমরা বলেছি যে, এ কমিশনটাও ছিল সম্পূর্ণ বেআইনি ও অনৈতিক। কারণ আমরা বার বার বলে এসেছি যে, নির্বাচন কমিশন দিয়ে নির্বাচন হবে না। নির্বাচন করতে হলে এখানে একটা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন হবে। নির্বাচনকালীন যদি নির্দলীয় সরকার না হয় তাহলে অতীতে যেসব নির্বাচন কমিশন কাজ করেছে তাদের যে হাল হয়েছে এদের সেই একই হাল হবে। তারা কখনোই অবাধ ও ‍সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে না। সেই কারণে এ নির্বাচন কমিশন কী বললেন না বললেন তাতে আমাদের জাতির কিছু যায় আসে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, মীর সরাফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, আকরামুল হাসান, মহানগর বিএনপির আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, স্বেচ্ছাসেবক দলের নতুন কমিটির সহ-সভাপতি ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান, সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।
 
এস এম জিলানী ও রাজীব আহসানের নেতৃত্বে গত ৪ সেপ্টেম্বর স্বেচ্ছাসেবক দলের পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয় বিএনপি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।