ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘আ.লীগ ১০০টা কথা বললে ৯৫টাই মিথ্যা বলে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
‘আ.লীগ ১০০টা কথা বললে ৯৫টাই মিথ্যা বলে’ ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগের লোকজন সকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ১০০টা কথা বললে ৯৫টাই মিথ্যা বলে।

শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির ঢাকা মহানগর সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে সাইফুল হক বলেন, সরকার বিদেশের দোহাই দেয় নিজেদের চুরি ঢাকার জন্য। আজকে তারা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কথা বলে। প্রধানমন্ত্রী ১৮ দিন বিদেশ থেকে আসার পর যে বক্তব্য দিচ্ছেন, তা শুনে মানুষের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর নাকি দুর্ভিক্ষ হবে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে এ কথা বললে, তার ক্ষমতায় থাকার অধিকার নেই। তার বক্তব্যে সিন্ডিকেট, মজুদদার ব্যবসায়ীরা মজুদ করবে।  

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার কোনোভাবেই দেশ চালাতে পারছে না। বাজারের আগুনে প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ পুড়ে মরছে। দেশে সরকার আছে বাজারে গেলে সেটি মনে হয় না। ক্ষমতায় থাকতে ভোটের দরকার নেই, তাই সরকার যা খুশি তাই করে দেশকে গজবের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এখন মানুষের মনে দুশ্চিন্তা, তাহলে কী ৭৪’র মতো দুর্ভিক্ষ হবে? বাজারে গেলে দেখবেন, টাকা দিলেই পণ্য পাচ্ছেন। তার মানে আমাদের উৎপাদন ঠিক আছে। সমস্যাটা হলো মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। গত ৮ মাসে ৪০ থেকে ৫০ লাখ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে নেমে এসেছে। দেশ সামাল না দিতে পারলে কেন ক্ষমতায় আছেন? পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, মানুষ বেহেশতে আছে। এটা মোটেই বেফাঁস কথা নয়। বেহেশতে তারা আছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বেহেশতে আছেন।

তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, দেশে নাকি ভিক্ষা নেওয়ার মানুষ নেই। এ কথা কী সত্য? তথ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি ভুল-ভাল তথ্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন।

গাইবান্ধার উপ-নির্বাচন নিয়ে সাইফুল হক বলেন, সিসিটিভিতে দেখা গেছে কীভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী চুরি করেছে। সিইসি নিজে বলেছেন এরা ডাকাত, এরা দুর্বৃত্ত। আর কিছু আছে? যে নির্বাচন কমিশন একটা উপ-নির্বাচন করতে পারে না, কীভাবে তারা এত বড় জাতীয় নির্বাচন করবে? সুতরাং নির্বাচনের আগে সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের মানুষ ২০১৮ সালের মতো আর কোনো ব্যর্থ নির্বাচন দেখতে চায় না।

আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে না বসা নিয়ে বিএনপির সিদ্ধান্তের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিএনপি বলেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য সব দলের সঙ্গে তারা সংলাপে বসবে। আমরা বলবো দুটি বিষয়ে সরকারের সঙ্গে আলাপ আছে। প্রথমটি হলো কীভাবে পদত্যাগ করবে? দ্বিতীয়টি হলো কীভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দেবে। এ সুযোগ এখনও আছে। সরকার যদি এ সুযোগ হারিয়ে ফেলে, এবারের তামাশার নির্বাচনে কোনো বিরোধীদল যাবে না। তখন গলায় গামছা লাগিয়ে এ সরকারকে বিদায় দেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০২২
এমকে/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।