ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

শেখ রাসেল পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক: হানিফ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
শেখ রাসেল পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক: হানিফ

ঢাকা: যারা গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বলে শিশু শেখ রাসেলের নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের কথা নেই কেন বলে প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। রাসেলের হত্যাণ্ডকে পৃথিবীর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ও পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 
 
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহিদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জাতীয় শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ক কথা বলেন।  

‘ভোরের পাখি শেখ রাসেল’ শীর্ষক এ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে গৌরব ’৭১।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, শেখ রাসেল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র এটা যেমন সত্য; পুরো পৃথিবীর মধ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘনের এবং নিষ্ঠুর, পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের নির্মম শিকারের প্রতীক হিসেবেও পরিচিত। আজ যারা গণতন্ত্র, মানবাধিকারের কথা বলেন শিশু রাসেলের হত্যাকাণ্ড তাদের হৃদয়ে নাড়া দিতে পারেনি। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তাদের কোনো কথা নেই কেন?

অভিভাবকদের উদ্দেশ্য হানিফ বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানীর মধ্য দিয়ে এই বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে। এটা সবার জানা উচিত। এতো ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত দেশকে স্বাধীনতার চেতনা থেকে বিচ্যুত হতে দেওয়া যাবে না। একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ছিলো তারা এক রাজনৈতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে ইতিহাস বিকৃত করছে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জ্বালাও-পোড়াও করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করছে। এসব ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে জানানো প্রয়োজন। কারণ তরুণ প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস না জানলে বিপথগামী হতে পারে ৷

হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ হলো বটবৃক্ষ। ধাক্কা দিয়ে, ঝাঁকি দিয়ে ফেলা যাবে আওয়ামী লীগ এমন দল নয়। এই স্বপ্ন যারা দেখছেন, তারা দিবাস্বপ্ন দেখছেন। আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল, স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের দল। জাতির পিতার হাতে গড়া আওয়ামী লীগকে হুমকি-ধমকি দিয়ে পরাস্ত করা যাবে না।

এসময় তিনি শিশুদেরকে লেখাপড়ার পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে পরিপূর্ণ ধারণা দেওয়ার অনুরোধ জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মশিউর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জের উপাচার্য জেড এম পারভেজ সাজ্জাদ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম।  

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৌরব ’৭১-এর সভাপতি এস এম মনিরুল ইসলাম মনি এবং সঞ্চালনা করবেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। তিনটি বিভাগে অন্তত ৭০০ প্রতিযোগী অংশ নেয়।
                        
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০২২
এসকে/এসএ 
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।