ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

‘উন্নয়ন বলতে বলতে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
‘উন্নয়ন বলতে বলতে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে’

ঢাকা: গণফোরামের একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসীন মন্টু বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন উন্নয়ন বলতে বলতে দেশকে দুর্ভিক্ষের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

বুধবার (২৬ অক্টোবর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে মন্টু বলেন, দেশ আইনের ভিত্তিতে পরিচালিত না হয়ে পরিচালিত হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের সুবিধামতো, যা ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রকেও হার মানায়। বিরোধী মতের সভা সমাবেশে বাধা, হামলা, গণপরিবহন বন্ধ ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে নির্যাতন-নিপীড়ন কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তো নয়ই, বরঞ্চ ফ্যাসিবাদের সর্বোচ্চসীমা অতিক্রম করছে। অবৈধ ক্ষমতা স্থায়ী করতে দেশের জনগণের লুটপাট করা অর্থ রক্ষা করতে এরা পাগল হয়ে গেছে। প্রশাসন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের দিয়ে গণতন্ত্রকামী জনতার ওপর আক্রমণ করে আবার তাদের ওপরেই দোষ চাপিয়ে মামলা দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, দুঃশাসনের জাঁতাকলে জনগণ পিষ্ট হয়ে জনজীবন বিধ্বস্ত। কী আশ্চর্য জ্বালানি উপদেষ্টার বক্তব্য! বিদ্যুৎ নাই, তা কেনার অর্থও নাই! তাহলে বিদ্যুতের জন্য খরচ দেখানো হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা কোথায় গেল? রিজার্ভ তো স্বয়ংসম্পূর্ণ হঠাৎ টাকা কোথায় উধাও হয়ে গেল? কোনো কিছুর সমাধান এই দখলদার আওয়ামী লীগ সরকার দিতে পারবে না। দেশের বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করা।

গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, কী করছে এই ফ্যাসিস্ট সরকার। যখন যাকে খুশি চাকুরিচ্যুত করছে, জোর করে অবসরে পাঠাচ্ছে, ওএসডি করে রাখছে। কেন এসব করছে? প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভয় দেখানো হচ্ছে, তাদের কথামতো অবৈধ কর্মকাণ্ড না করলে চাকরি থাকবে না। এটা স্পষ্ট অপরাধ। বিদ্যুৎ সংকট, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, নিয়ন্ত্রণহীন জ্বালানি তেল ও মুদ্রাস্ফীতি সবকিছুর জন্য এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের ছত্রছায়ায় অসহনীয় লুটতরাজ দায়ী। জনজোয়ারে রাতের ভোটে ক্ষমতা দখল করা ভোট চোর সরকারের পতনের ঘণ্টা বাজতে শুরু করেছে।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে এম জগলুল হায়দার আফ্রিক, মহিউদ্দিন আবদুল কাদের, সভাপতি পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান, আব্দুল হাসিব চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা খান সিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ রওশন ইয়াজদানী, তথ্য ও গণমাধ্যম সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ মধু, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. নাসির হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২২
এমএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।