ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে জিয়া-এরশাদ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে জিয়া-এরশাদ: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।  

বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে ‘জেল হত্যা, আইনের শাসন, সংবিধান ও সাংবিধানিকতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান বক্তার ভাষণে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা হত্যার বিচার করা যাবে না- জিয়াউর রহমান এটা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে জিয়াউর রহমান প্রথম ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সে সময় বাঙালি জাতীয়তাবাদের পরিবর্তে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন জিয়া। সমতাভিত্তিক-সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা সরিয়ে নিজের একটা ব্যবস্থা প্রবর্তন করেছেন। সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতা বাতিল করে দিয়েছেন। পরে এরশাদ ক্ষমতায় এসে রাষ্ট্র ধর্ম প্রবর্তন করেছেন। অথচ শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার সর্বোচ্চ আইন সংবিধানকে ৭২ এর চেতনায় ফিরিয়ে এনেছেন।

তিনি বলেন, ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সকে আইনে পরিণত করে সংবিধানের অংশে পরিণত করেছেন জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাষ্ট্র ক্ষমতা নিয়ে এসে ষোলকলা পূর্ণ করেছে খালেদা জিয়া। অপরদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পর ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স বাতিল করেছেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, জেল হত্যার বিচারসহ বড় বড় হত্যাকাণ্ডের বিচারের মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন শেখ হাসিনা।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, একজন শেখ হাসিনা আছেন বিধায় বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আজও আছে। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আছে। শেখ হাসিনা আছেন বিধায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন আর প্রাকৃতিক দুর্যোগের তকমা লাগানো রাষ্ট্র আজ উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা ফিরে না আসলে এদেশে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার কোনোদিন সম্ভব হতো না। তিনি ফিরে না আসলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হতো না। আর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা না হলে বাংলাদেশ আজকের অবস্থানে আসতো না।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ড. ওহিদুর রহমান টিপুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ বক্তা ছিলেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২,২০২২
জিসিজি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।