ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে শ্রমিক-মালিকদের সম্পর্ক নেই: শিমুল বিশ্বাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৭, ২০২২
পরিবহন ধর্মঘটের সঙ্গে শ্রমিক-মালিকদের সম্পর্ক নেই: শিমুল বিশ্বাস

ঢাকা: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন, বিএনপির গণসমাবেশের আগে যে ধর্মঘট করা হচ্ছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন এমনকি সাধারণ শ্রমিক মালিকদের কোনো ধরনের সম্পর্ক নেই। পুরোপুরি সরকারের নির্দেশে অতি উৎসাহী পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন আর ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ভয়-ভীতি দেখিয়ে জোর করে পরিবহন ধর্মঘট করেছে।

সোমবার (৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। পরিবহন ধর্মঘট প্রশ্নে তাকে নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রীদের বক্তব্যের জবাব দিতে তিনি এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।  

বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস বলেন, সরকারের জোরপূর্বক এ ধর্মঘটের কারণে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে দেশের সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক, উভয় পক্ষ। প্রকৃত সত্য হচ্ছে, সড়ক পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক কোনো পক্ষই এ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ধর্মঘট চায় না, সবাই ধর্মঘটের বিরুদ্ধে। কিন্তু সরকারের চাপের মুখে, ক্ষমতাসীনদের পেশীশক্তি আর দমনপীড়নের কাছে নিরুপায়। কোনো কোনো এলাকায় এমন ঘটনাও ঘটেছে যে, জীবন-জীবিকার তাগিদে সড়কে গাড়ি বের করলে সরকার দলীয় ক্যাডারদের হামলার শিকার হয়েছেন অনেক পরিবহন শ্রমিক।

তিনি বলেন, জোর করে চাপিয়ে দেওয়া ধর্মঘটের কারণে সাধারণ মানুষকে নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। জরুরি দরকারে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকাতে যেতে পারেনি মানুষ। এমনকি, সংকটাপন্ন রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে পারেননি স্বজনরা। এক কথায় বলা যায়, এ ধর্মঘট গণমানুষের বিপক্ষে।  ‘সরকার পরিবহন সংগঠনের নাম ব্যবহার করে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে জনসাধারণের মধ্যে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলছে। বিরোধীদলের শান্তিপূর্ণ গণসমাবেশের আগে সমাবেশ বানচালের জন্য, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করার জন্য এ ধর্মঘটের আয়োজন করা হচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ ৫ নভেম্বর বরিশালের সমাবেশের আগে সড়ক পরিবহন ধর্মঘটের পাশাপাশি রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নৌযান এমনকি খেয়া নৌকা পর্যন্ত বন্ধ করেছিল। এতেই সরকারের উদ্দেশ্য প্রকাশ হয়েছে। তারপরও সরকারের মন্ত্রীরা অন্যায়ভাবে আমার নামে মিথ্যাচার করছেন। উপরোন্ত সেবামূলক সড়ক পরিবহন সেক্টরকে সরকার পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। সরকারের পাতানো এ ধর্মঘটের সঙ্গে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

শিমুল বিশ্বাস বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন, এমনকি জাতীয় সংসদেও বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশের আগে পরিবহন ধমর্ঘট নিয়ে আমাকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতারা। গত বুধবার জাতীয় সংসদে দাঁড়িয়ে পরিবহন ধর্মঘট প্রসঙ্গে আমার নাম জড়িয়ে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এমনকি এ ইস্যুতে তথ্যমন্ত্র ড. হাছান মাহমুদও প্রতিনিয়ত মিথ্যা বক্তব্য দিচ্ছেন। এ ধরনের অসত্য কথা বলে নিজের দোষ গোপন করে অন্যের ওপর দোষ না চাপানোর জন্য আহবান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবহন শ্রমিক নেতা এম জেনারেল ইসলাম, এম কে নরেন, হুমায়ুন কবির খান, শাহাবুদ্দিন রেজা, জাহাঙ্গীর আলম, মঞ্জরুল আলম মঞ্জু ও মাহবুব আলম বাদল প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৭, ২০২২
এমএইচ/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।