ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ফরিদপুরে চলছে ৩৮ ঘণ্টার বাস-মিনিবাস ধর্মঘট

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
ফরিদপুরে চলছে ৩৮ ঘণ্টার বাস-মিনিবাস ধর্মঘট

ফরিদপুর: আগামীকাল শনিবার (১২ নভেম্বর) ফরিদপুরের বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে জেলা মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ধর্মঘট।  

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট চলবে শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত।

 

এর আগে বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) ফরিদপুর জেলা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বাস-মিনিবাস ধর্মঘটের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়।  

মাইকিংয়ে বলা হয়েছিল, মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে ১১ নভেম্বর সকাল ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত জেলার সব রুটে বাস-মিনিবাস চলাচল বন্ধ রাখতে বলা হলো।  

এদিকে, ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশকে সামনে রেখে যাত্রীবাহী বাস ও মিনিবাসের সঙ্গে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) বাস চলাচলও বন্ধ রাখা হয়েছে।  

শুক্রবার সকালে ফরিদপুরের বিআরটিসি বাস পরিবহনের সহকারী পরিচালক মোজাম্মেল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্র ও শনিবার (১১, ১২ নভেম্বর) ফরিদপুর থেকে সব রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ মহাসড়কে সব ধরনের তিন চাকার অবৈধ যান চলাচল বন্ধের জন্য শুক্রবার ভোর থেকে ৩৮ ঘণ্টার ধর্মঘট ডেকেছে। তারাও ওই দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে বাস বন্ধ করে দিয়েছেন। শুক্রবার ও শনিবার তাদের কাউন্টার বন্ধ থাকবে।

এ ব্যাপারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও ফরিদপুর বিভাগীয় গণসমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী ডা. এ জড এম ড. জাহিদ হোসেন বলেন, ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার জন্যই বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচল নিষিদ্ধের দাবিতে যে চিঠি দিয়েছিল, তাতে তারা ১০ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত দাবি মেনে নেওয়ার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার আগেই তারা শহরে মাইকিং করে বাস ধর্মঘটের কথা জানিয়ে দিয়েছে। এটি যে সরকারেরই একটি পাতানো খেলা, এতে সেটিই প্রমাণ হয়ে গেছে।  

এদিকে এ ব্যাপারে জেলা বাস মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক গোলাম নাসির বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ফরিদপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অতুল সরকারের মাধ্যমে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার বরাবর গত ৭ নভেম্বর চিঠি দিয়ে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিলাম। তবে সেই দাবি মানা হয়নি। ফলে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে ১২ নভেম্বর শনিবার রাত ৮টা পর্যন্ত ফরিদপুর জেলা বাস টার্মিনাল থেকে আঞ্চলিক বাস ও মিনিবাসসহ দূরপাল্লার পরিবহনের সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।  

এ ব্যাপারে পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি জুবায়ের জাকির বলেন, বাস-মিনিবাস বন্ধের সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা কয়েকদিন আগে থেকেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের তারিখ মিলে গেলে আমাদের কী করার আছে? মহাসড়কে ত্রি-হুইলার নছিমন, করিমন, ভটভটি, মাহিন্দ্রা, ব্যাটারিচালিত রিকশা, ইজিবাইক ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও এসব অবৈধ যান মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে। এর প্রতিবাদে আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১০২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।