ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন নিয়ে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: আমির খসরু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
নির্বাচন নিয়ে কানাডার হাইকমিশনারের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে: আমির খসরু

ঢাকা: বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিনি নিকোলাসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছে বিএনপি। রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক করেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এদিন দুপুর দেড়টায় হাইকমিশনার লিনি নিকোলাসের গাড়ি বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে প্রবেশ করে এবং বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বেরিয়ে যায়। বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ছাড়াও দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।

পরে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কানাডা মানবাধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার, জীবনের নিরাপত্তা, আইনের শাসনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। কানাডাসহ কয়েকটা দেশ এগুলোতে দৃঢ় অবস্থান নেয় সবসময়। তারা কিন্তু বাংলাদেশ সরকারকে বিভিন্ন সময়... তাদের ও্য়েব সাইটে গেলে আপনারা দেখতে পারবেন যেটা, বাংলাদেশ সরকারকে বাইলেটারেলি বলে আসছে যে, এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট, আমাদের যে মানবাধিকার পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন, আইনের শাসন, জীবনের নিরাপত্তা ইত্যাদি সব বিষয়ে আলাপ হয়েছে। আমরা ভালো আলোচনা করেছি।

মানবাধিকার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কানাডার পক্ষ থেকে কনসার্ন তো আছেই, স্বাভাবিক। বাংলাদেশের জনগণের যে রকম কনসার্ন আছে, সারা বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো, মাল্টিলেটারেল বডি এবং মানবাধিকার সংস্থা সবার যেমন কনসার্ন আছে, তাদেরও তো কনসার্ন থাকা স্বাভাবিক। বিশেষ করে মানবাধিকারের ওপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি, গণতন্ত্রের ওপর তাদের গুরুত্ব অনেক বেশি।

নির্বাচন ইস্যুতে আপনারা কী বলেছেন জানতে চাইলে আমির খসরু বলের, ‘আমরা তো ভেতরে কী আলোচনা হয়েছে সেটা এখানে বলতে পারব না। এটা আপনারা বুঝতেই পারছেন।

কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে আমির খসরু বলেন,  আমরা সবাই জানি দুই দেশের মধ্যেকার সম্পর্কটা অনেক ডাইভারসিফাই সম্পর্ক। প্রথম, আমাদের ২ বিলিয়নের ওপরে রপ্তানি হয়। সেটা ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে শুল্কমুক্ত সুবিধা যেটা পেয়েছিল, সেটা বিএনপির সময়ে নেগোশিয়েট হয়েছিল। যার কারণে আজকে আমাদের রপ্তানির ডেসটিনি হয়েছে কানাডা। আামি তখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম, কানাডার সঙ্গে এ নেগোশিয়েট করেছিলাম। আমাদের বড় রপ্তানির জায়গা কানাডা। আমদানির জন্যও বাংলাদেশের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কানাডা। আমাদের মূল কিছু জিনিস যেমন গম, ডাল, ডাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য যার একটা বড় অংশ কানাডা থেকে আসে।

তিনি বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা আজকাল খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে কানাডায় লেখাপড়া করতে। প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলে-মেয়েরা কানাডা যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের একটা বড় বংশোদ্ভূত  শ্রেণিবাস করছে যারা কানাডার অর্থনীতিতে ও সমাজে কনট্রিবিউট করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।